দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে নতুন চুক্তি চান হাসিনা-মোদি
বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি প্রাধান্য পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আরও সম্প্রসারিত ও দৃঢ় করতে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক শেষে এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বিনয় মোহন কাওয়াত্রা।
বিজ্ঞাপন
ব্রিফিংয়ে কাওয়াত্রা বলেন, ‘এশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত। এমনকি মহামারিকালীন পরিস্থিতিতেও গত বছর দুই দেশের মধ্যে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়েছে, যা এ পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের রেকর্ড। এত বেশি বাণিজ্য এর আগে আর কোনো বছর হয়নি।’
‘এই উন্নতিকে টেকসই করতে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) নামে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিনিধিদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’
এই চুক্তি সম্পর্কিত আলোচনার বাইরে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, জ্বালানির অংশীদারিত্ব, পানি বণ্টন, দুই দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধন দৃঢ় করা ইত্যাদি দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়েও দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চারদিনের সফরে ভারতে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) তার এ সফর শুরু হয়।
সফরের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। আজ ২য় দিন প্রথমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। পরে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে ভারত সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার তিন বছর পর এ দ্বিপক্ষীয় সফরে বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সহযোগিতার পাশাপাশি দুই দেশের অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : এএনআই
এসএমডব্লিউ