দিল্লি সফরের প্রথম দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআই এক টুইটবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।

এ বিষয়ে টুইট করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও। তিনি লিখেছেন, ‘আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমাদের নেতৃত্বস্তরের যোগাযোগের উষ্ণতা ও পুনরাবৃত্তি ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর অংশীদারিত্বের একটি সাক্ষ্য।’

সফরসূচি অনুযায়ী, জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ শেষে দিল্লির নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ জিয়ারত করতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে ফেরার পর বৈঠক করবেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির সঙ্গে। 

তারপর প্রধামন্ত্রীর সম্মানে বাংলাদেশ হাই কমিশনের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চারদিনের সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার মুহাম্মদ ইমরান।

সর্বশেষ ২০১৯ সালে ভারত সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার তিন বছর এ দ্বিপক্ষীয় সফরে বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সহযোগিতার পাশাপাশি দুই দেশের অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সফরে ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং উপ-রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন।

বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সংকটের এই কালে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, জনযোগাযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত সুরক্ষা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ গুরুত্ব পাবে চলতি সফরের দ্বিপক্ষীয় আলোচনায়।

এসএমডব্লিউ