আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা

উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, মাদরাসায় যদি ভারতবিরোধী কাজকর্ম হয়, তাহলে তা ভেঙে দেওয়া হবে। মাদরাসা ভেঙে দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই সরকারের। তবে জিহাদি কাজকর্মে কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা হলে, তা ভেঙে দেওয়া হবে। 

বুধবার আসামের বঙ্গাইগাঁওতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মাদরাসা। বঙ্গাইগাঁওয়ের ওই মাদরাসার বেশ কয়েকজন শিক্ষকের জঙ্গিযোগ প্রমাণিত হয়। আল কায়েদা জঙ্গিদের সঙ্গে মাদরাসার শিক্ষকদের কয়েকজনের যোগসূত্র রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।  

মাদরাসা ও জঙ্গিযোগ নিয়ে আসামের পরিস্থিতি গত বেশ কিছুদিন ধরেই কিছুটা জটিল। এসব ঘটনায় যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি রয়েছেন বলেও খবর রয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সঙ্গে তাদের অনেকের যোগাযোগ রয়েছে বলেও মনে করছে পুলিশ।   

আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে আল-কায়েদার দুই জঙ্গি আটক 

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা গেল আগস্ট মাসে বলেছিলেন, বাইরের রাজ্য থেকে আসা কোনো ব্যক্তি আসামের মসজিদের ইমাম বা মাদরাসার শিক্ষক হতে চাইলে তাদের কাগজপত্র এবং অতীত কাজকর্ম খতিয়ে দেখবে পুলিশ। এরপর তাদের অনলাইন নথিভুক্তিকরণ হবে। 

বুধবার বঙ্গাইগাঁওতে যে মাদরাসাটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে সেটার জড়িত মাওলানা বদরুদ্দিন আজমল বলেন, এই মাদরাসায় দুঃস্থ শিশুদের পড়ানো হয়। মাদরাসাগুলো তৈরির জন্য ২০-৩০ বছর ধরে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। অথচ সরকার একদিনেই তা গুঁড়িয়ে দিল।

তিনি আরও বলেন, আসাম জুড়ে কয়েক লাখ স্কুল রয়েছে। সেই সমস্ত স্কুলগুলোতে যদি কেউ অপরাধ করেন, তাহলে শুধুমাত্র তাকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হয়। মাদরাসার ক্ষেত্রেও সেই একই আইন প্রযোজ্য হওয়া উচিত। যে বা যারা অপরাধী, তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।  

এনএফ