ছবি : দ্য এজ মার্কেট

আন্তর্জাতিক বাজারে তেল-গ্যাসসহ প্রায় সব ধরনের জ্বালানি পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে বিপুল পরিমাণ মুনাফা করছে জ্বালানি রপ্তানিকারী বিভিন্ন দেশ। সে তালিকায় এবার যুক্ত হলো দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ মালয়েশিয়াও।

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এলএনজি রপ্তানিকারী এই দেশটি চলতি বছরের ২য় কোয়ার্টারে (এপ্রিল-জুন) জ্বালানি রপ্তানি থেকে মুনাফা করেছে ২ হাজার ৩০০ কোটি রিংগিত (৫১৩ কোটি ডলার)। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এই খাত থেকে মালয়েশিয়ার অর্জিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ৯৬০ কোটি রিংগিত।

মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার জ্বালানি অনুসন্ধান, উত্তোলন ও বিতরণ বিষয়ক সরকারি কোম্পানি পেট্রোনাসের শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা টেংগু মুহম্মদ তৌফিক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। রাজধানী কুয়ালালামপুরে পেট্রোনাস ভবনে আয়োজিত সেই সংবাদ সম্মেলেনে টেংগু মুহম্মদ তৌফিক আরও বলেন, ‘শতকরা হিসেবে ২০২১ সালের ২য় কোয়ার্টারের চেয়ে চলতি বছরের ২য় কোয়ার্টারে আমাদের মুনাফার পরিমাণ ৬৩ শতাংশ বেশি।’

তিনি আরও জানান, চলতি বছরের শেষ নাগাদ জ্বালানি রপ্তানি খাত থেকে সরকারকে মোট ৫ হাজার কোটি রিংগিত (১ হাজার ১১৬ কোটি ডলার) মুনাফা প্রদানের লক্ষ্য নিয়েছে পেট্রোনাস।

সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোনাসের শীর্ষ নির্বাহী বলেন, ‘গত বছর আমরা এই খাত থেকে ২ হাজার ৫০০ কোটি রিংগিত সরকারকে প্রদান করেছিলাম। চলতি বছরও আমাদের লক্ষ্যমাত্রা সেটিই ছিল।’

‘কিন্তু সম্প্রতি সরকার মুনাফার পরিমাণ বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।’

করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে  জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতিজনিত যে সংকট শুরু হয়েছে, মালয়েশিয়াও তার বাইরে নেই। অভ্যন্তরীণ বাজারে ভোজ্যতেল, খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সরকার। অনেক ক্ষেত্রে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েও বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।

এই পরিস্থিতিতে জ্বালানি খাত থেকে মুনাফার পরিমাণ বৃদ্ধিকে দেশটির জন্য বড় সুখবর বলে উল্লেখ করেছেন আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ