ছবি : আল আরাবিয়া নিউজ

ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বুধবার এই শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে সৌদির সরকারি বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)।

এসপিএর প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে যে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন সৌদি যুবরাজ, তা আন্তরিকতায় পরিপূর্ণ। তিনি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি ইউক্রেনের সাধারণ জনগণের উন্নতি ও অগ্রগতিও কামনা করেছেন।’

গত প্রায় ৬ মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। এই ৬ মাসে ভার্চুয়াল মাধ্যম ও টেলিফোনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের একাধিকবার যোগাযোগ ঘটলেও শুভাচ্ছাবার্তা পাঠানোর সুবাদে এই প্রথম জেলেনস্কির সঙ্গে যোগাযোগ করলেন সৌদি যুবরাজ।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যে ১৫টি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হয়, তার মধ্যে ইউক্রেনও অন্যতম। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের শুরু থেকেই ২৪ আগস্ট দিনটিকে নিজেদের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ইউক্রেন।

বিগত বছরগুলোতে যথেষ্ট জাঁকজমকের সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস পালন করলেও চলতি বছর স্বাধীনতা দিবসের যাবতীয় আয়োজন বাতিল করেছে কিয়েভ। এ সম্পর্কে সরকারি এক আদেশে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে জনসমাবেশ ঘটলে তা অভিযানরত রুশ বাহিনীকে হামলা চালাতে উৎসাহিত করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণার ‍দু’দিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।

চলতি আগস্টে ষষ্ঠ মাসে গড়িয়েছে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অভিযান। এই চার মাস সময়ের মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লুহানস্ক, ইউক্রেনের দুই বন্দর শহর খেরসন ও মারিউপোল, দনেতস্ক প্রদেশের শহর লিয়াম, মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রুশ বাহিনীর হাতে।

এদিকে, যুদ্ধ শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে শান্তি সংলাপ শুরু হয়। সংলাপের এক পর্যায়ে রাশিয়ার শর্ত অনুযায়ী নিজেদের সামরিক সক্ষমতা হ্রাসে রাজিও হয়েছিল ইউক্রেন।

কিন্তু দু’মাস আগে কিয়েভ ঘোষণা দেয়, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক সহায়তা নিয়ে রাশিয়াকে যুদ্ধে পরাস্ত করার আগ পর্যন্ত কোনো শান্তি সংলাপে বসবে না ইউক্রেন। তারপর থেকেই দু’দেশের মধ্যকার শান্তি সংলাপ বন্ধ রয়েছে।

এসএমডব্লিউ