চীনের সামরিক হুমকি উপেক্ষা করে সম্প্রতি তাইওয়ান সফরে করেছেন মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এরপর থেকে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

শনিবার (২০ আগস্ট) তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চীনের আটটি যুদ্ধ বিমান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা লঙ্ঘন করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চারটি জেএইচ-৭। বাকিগুলোর মধ্যে দুটি সুখোই-৩০ এবং দুটি জে-১১ যুদ্ধবিমানও রয়েছে।

ঘোষিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। এদিকে চীনের যুদ্ধ বিমান এবং রণতরীর ভয়ে তাইওয়ান প্রণালীতে বাণিজ্যিক বিমান এবং নৌ চলাচল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

তাইওয়ানের দাবি, তাইওয়ান প্রণালীতে মোতায়েন পাঁচটি চীনে যুদ্ধ জাহাজ এবং ২১টি যুদ্ধ বিমানের গতিবিধি তাদের নজরে রয়েছে।

চীনা বিমান বাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী ‘স্টেলথ এয়ার সুপিরিওরিটি ফাইটার’ জে-২০ যুদ্ধ বিমানও তাইওয়ান প্রণালীতে মোতায়েন করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ। তার মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-১৬ভি মোতায়েন করেছে তাইওয়ানও।

চীনা নৌ বাহিনীর পক্ষ থেকে তাইওয়ান প্রণালীতে মোতায়েন করা যুদ্ধ জাহাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘অ্যাম্ফিবিয়ান ল্যান্ডিং ভেহিকল’ও। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ তাইওয়ানে দ্রুত সেনা অবতরণের উদ্দেশ্যেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

এমএইচএস