অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার মামলা
১৭ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই
গরু পাচার মামলায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন পশ্চিমবঙ্গের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এই মামলার তদন্তে নেমে এবার কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই।
অনুব্রত মণ্ডলসহ তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের অ্যাকাউন্টে বড় অংকের টাকার সন্ধান পাওয়ার পর ১৭ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। এসব ফিক্সড ডিপোজিটের কোনোটি ছিল অনুব্রতের নিজের নামে, কোনোটি ছিল আবার তার কোনো আত্মীয়ের নামে।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দুটি সরকারি ও একটি বেসরকারি ব্যাংকে এই বিপুল টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করা ছিল। এই বিপুল সম্পদের উৎস নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে। গরু পাচারের মাধ্যমে এ টাকা এসেছে কি না তা এখন জানার চেষ্টা করছে সিবিআই।
ইতোমধ্যেই একাধিক জায়গায় তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গতকাল বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির অদূরেই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে যান সিবিআই তদন্তকারীরা।
• আরও পড়ুন : পার্থ পেয়েছিলেন না, অনুব্রতও ফোনে পাননি মমতাকে
বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মোট কত টাকার সম্পত্তি রয়েছে, এখন আসলে সেটাই জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। গতকাল প্রথমে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলতে বাড়িতে যান গোয়েন্দারা। কিন্তু সিবিআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি সুকন্যা। সেখানে ১০ মিনিট থেকে চলে যান ব্যাংকে।
দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে তলবও করা হয়েছে। তলব করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের সিএ-কেও। সিএ-র বক্তব্যের সঙ্গে নথি মিলিয়ে দেখবে সিবিআই। অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যার সম্পত্তির লেনদেন হওয়ার বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখতে চাইছেন কর্মকর্তারা। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ সময় কথা বলেন সিবিআই কর্মকর্তারা। তারপরই বিকেলে প্রায় ১৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করেন গোয়েন্দারা।
২০২০ সালের গরু পাচারের একটি মামলায় ১১ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও প্রদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে।
গ্রেপ্তারের আাগে তাকে অন্তত ১০বার তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে সিবিআইয়ের তলবে সাড়া দেননি। এর আগে গরু পাচার মামলার তদন্তের অংশ হিসাবে সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা তাকে দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন।
এনএফ