সোমালিয়ায় মার্কিন বিমান হামলা, নিহত ১৪
পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় মার্কিন বিমান হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই দেশটির আল-শাবাব জঙ্গিগোষ্ঠীর যোদ্ধা। গত রোববার (১৪ আগস্ট) সোমালিয়ার কেন্দ্রীয় হিরান অঞ্চলে আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাবকে লক্ষ্য করে এই বিমান হামলা চালানো হয়।
মূলত সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে এটিই এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। সোমবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রিকান কমান্ড বা আফ্রিকম বলেছে, তারা ইথিওপিয়ার সীমান্তবর্তী হিরান অঞ্চলের রাজধানী বেলেডওয়েনের বাইরে একটি বিমান হামলা পরিচালনা করেছে। আফ্রিকম জানিয়েছে যে, সোমালিয়ার জাতীয় সেনাবাহিনীর সমর্থনে পরিচালিত আরেকটি বিমান হামলায় ৪ জন আল-শাবাব সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।
মোগাদিসু-ভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যানালাইসিস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর পরিচালক আবদুর রাহমান শেখ আজহারি ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় সোমালিয়ায় তাদের ভূমিকা বৃদ্ধি করছে। এটা সোমালিয়ায় আবার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উপস্থিতি সংক্রান্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিশ্রুতির অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমালিয়ায় মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি প্রত্যাহার করেছিলেন।
সংবাদমাধ্যম বলছে, হাসান শেখ মোহামুদ সোমালিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাাচিত হওয়ার পর সাম্প্রতিক বিমান হামলাগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। এর আগে মোহামুদ অঙ্গীকার করেছিলেন যে, সকল ফ্রন্টে আল-শাবাবের বিরুদ্ধে লড়াই করা হবে।
তবে নাইরোবিভিত্তিক ফারসাইট আফ্রিকা গ্রুপের সহযোগী পরিচালক ড্যানিয়েল ফারনাড বিশ্বাস করেন, মোহামুদের অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার কারণ নয়। তিনি বলেন, আল-শাবাব ইথিওপিয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম বাড়াচ্ছে, সে কারণে ওয়শিংটন উদ্বিগ্ন।
তিনি আরও বলেন, সোমালিয়ায় বিমান হামলাগুলো ইথিওপিয়ার ভূখণ্ডে শাবাবের অনুপ্রবেশের সাথে সম্পর্কিত বলেও মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, সোমালিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে এক দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করছে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার অনুসারি আল-শাবাব। সোমালিয়ায় ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় এই জঙ্গিগোষ্ঠী।
এ কারণে আল-শাবাবের সদস্যরা প্রায়ই দেশটির সামরিক ঘাঁটি, হোটেল ও ব্যস্ত সড়কে বেসামরিক নাগরিক এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বোমা ও বন্দুক হামলা চালিয়ে থাকে।
টিএম