ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে সরব আমিরাতের রাজকুমারী
ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বোমাবর্ষণ এবং শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজকুমারী হিন্দ বিনতে ফয়সাল আল-কাসিমি।
সাম্প্রতিক এক টুইটে তিনি বিভিন্ন যুদ্ধে মুসলমানদের মৃত্যুকে হলোকাস্টের সাথে তুলনা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
গত ২৫ বছরে যুদ্ধে ১ কোটি ২৫ লাখ মুসলমান মারা গেছেন দাবি করে, তিনি লিখেছেন, আপনি কখনও শুনবেন না যে একজন মুসলমান বই লিখেছেন, সিনেমা বানিয়েছেন বা আইনি লড়াই করছেন যেখানে বলা হচ্ছে যে, আপনি যদি আমাদের দুর্দশায় সহানুভূতি না দেখান তবে আপনারর মানবিকতা নেই। আমরা ক্ষমা করি এবং এগিয়ে যাই।
গাজা উপত্যকায় শিশু হত্যার ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য মিডিয়াকেও দায়ী করেছেন তিনি অন্য একটি টুইটে। তিনি লিখেছেন, এই শিশুদের মৃত্যুর জন্য যেন কোনো সহানুভূতি তৈরি না হয়, সেটা কার চাওয়া এটা মিডিয়া জানে। মিডিয়াতে দাবি করা হয়, এই শিশুদের সন্ত্রাসী বাবারা তাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিলেন।
• আরও পড়ুন : এবার পশ্চিমতীরে ইসরায়েলের হামলা, ৪২ ফিলিস্তিনি হতাহত
তিনি আরও লিখেছেন, জার্মানিতে নাৎসিরা ইহুদিদের সাথে যা করেছে তাতে আমরা সবাই কেঁদেছি। আর এটা হাস্যকর যে কিভাবে সেই ইহুদিরাই ফিলিস্তিনিদের সাথে ঠিক একই ঘটনায় মোটেও বিচলিত নয়। নিজ ভূখণ্ড থেকে তারা যদি না সরে তাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দাও, বোমা মেরে উড়িয়ে দাও আর তারপর সেই ভূখণ্ড দখল করে নাও।
এই হত্যাকাণ্ডকে ‘আত্মরক্ষা’ বলে অভিহিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও নিন্দা করেছেন রাজকুমারী এবং লিখেছেন, ইসরায়েলের দাবি ইসলামিক জিহাদের প্রস্তুতি চলছে গাজায়। আর সে কারণে সেখানে বোমা হামলা এবং বেসামরিক এবং শিশুদের হত্যাকে ন্যায়সঙ্গত। আর যুক্তরাষ্ট্র এটাকে বলছে আত্মরক্ষা।
এদিকে এরইমধ্যে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। মিশরের মধ্যস্থতায় এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
এ যুদ্ধবিরতির কথা উভয় পক্ষ নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় সময় রোববার রাত সাড়ে ১১টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
সূত্র : দ্য সিয়াসাত ডেইলি।
এনএফ