করোনাভাইরাস পরিস্থিতি
বিশ্বজুড়ে কমেছে শনাক্ত, মৃত্যু আরও ১৭৭২
চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭৫০ জনের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে ৮ লাখের নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো ও ফ্রান্স। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৮ কোটি ৫৯ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৪ লাখ ২৯ হাজার।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৭৭২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে একশোর বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৪ লাখ ২৯ হাজার ৬৭২ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৯০ হাজার ২৮৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ২৫ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৯ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩১ হাজার ৫৯৭ জন এবং মারা গেছেন ১৫৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৩ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩২ হাজার ৯৭৬ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৬৮২ জন এবং মারা গেছেন ২৮৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৩৭ লাখ ৪ হাজার ৮৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৬ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫৮ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭ হাজার ১৬৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৫৯৪ জনের।
ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৭৯৯ জন এবং মারা গেছেন ৮৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৫৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৮৪৯ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৯৫৯ জন এবং মারা গেছেন ১৬১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭২ হাজার ৭২৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ২১০ জন এবং মারা গেছেন ১২৩ জন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৬ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২২ হাজার ৯৫৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৬ লাখ ৭৫ হাজার ১২৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৮২ জনের। একইসময়ে ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪১৫ জন এবং মারা গেছেন ৮১ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৪ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ১২৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫৩ হাজার ৮৬৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৬০৪ জনের। একইসময়ে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৪২ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ২৬১ জন এবং মারা গেছেন ৮৫ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৯৭ জন এবং মারা গেছেন ৬৫ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
টিএম