ছবি : ফোর্বস

আফগানিস্তানে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক বিশেষ অভিযানে নিহত হয়েছেন আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি। এ ঘটনার জেরে নিজ দেশের নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণে বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

পেশাগত বা পর্যটনসূত্রে বাইরের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদেরও সতর্ক করেছে মার্কিন সরকার। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ক একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সন্ত্রাসীগোষ্ঠী, মার্কিন নাগরিক ও স্থাপনা লক্ষ্য করে তাদের হামলা ও হামলার লাগাতার হুমকিতে যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ এই সন্ত্রাসীরা তাদের অশুভ উদ্দেশ্য পূরণে আত্মঘাতী হামলা, গুপ্তহত্যা, অপহরণ, ছিনতাই ও বোমাহামলার মতো কৌশল গ্রহণে পেছপা হয় না।’

‘সন্ত্রাসী হামলা, রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কোনো আগাম সতর্কতা না দিয়েই হামলা চালাতে অভ্যস্ত। এ কারণে যেসব মার্কিন নাগরিক বাইরের বিভিন্ন দেশে যেতে ইচ্ছুক, তাদেরকে ব্যক্তিগত ভাবে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা এবং পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝলেই তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

‘আর যুক্তরাষ্ট্রের যেসব নাগরিক দেশের বাইরে আছেন, তাদেরকেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো নিয়মিত অনুসরণ করা ও নিকটস্থ মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হচ্ছে।’

গত ৩১ জুলাই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের অভিযান আবাসিক এলাকা শেরপুরে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক বিশেষ অভিযানে নিহত হন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আল কায়দা নেটওয়ার্কের প্রধান আইমান আল জাওয়াহিরি। মার্কিন একটি ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) থেকে ‘হেলফায়ার’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে হত্যা করা হয় ৭১ বছর বয়সী জাওয়াহিরিকে, যিনি ২০১১ সালে আল কায়দার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনের নিহত হওয়ার পর থেকে গোষ্ঠীটিকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।

আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার জাওয়াহিরির নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে; পাশাপাশি আফগানিস্তানে ঢুকে জাওয়াহিরিকে হত্যায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘণ হয়েছে বলে নিন্দাও জানিয়েছে কট্টরপন্থী এ ইসলামী গোষ্ঠী।