মার্কিন সংসদ কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এবং এই সফর ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের ইতিমধ্যে তলানিতে পৌঁছানো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও বাড়িয়েছে।

উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে তাইওয়ান, যে অঞ্চলটিকে চীনের সরকার একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ মনে করে এবং বেইজিং শেষ পর্যন্ত বেয়ারা এই প্রদেশ চীনের সঙ্গে একীভূত হবে বলেও বিশ্বাস করে। আর সেটি করতে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগও করা হতে পারে বলে দীর্ঘদিন ধরে হুঁশিয়ার করে আসছে চীন।

কিন্তু তাইওয়ানের অনেকেই স্বশাসিত এই দ্বীপ ভূখণ্ডকে আলাদা রাষ্ট্র মনে করেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও এই অঞ্চলের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়নি।

চীন ও তাইওয়ানের ইতিহাস কী বলছে? 

তাইওয়ানে প্রথম পরিচিত বসতি স্থাপনকারীরা ছিলেন অস্ট্রোনেশিয়ান আদিবাসী গোষ্ঠীর লোকজন। আর এই গোষ্ঠীর সদস্যরা তাইওয়ানে পাড়ি জমিয়েছিলেন আধুনিক চীনের দক্ষিণাঞ্চল থেকে বলে ধারণা করা হয়।

২৩৯ খ্রিষ্টপূর্বের চীনা একটি নথিতে প্রথমবারের মতো দ্বীপটির নাম দেখা যায়। সেই সময় একজন সম্রাট এই অঞ্চলটি আবিষ্কারের জন্য একটি অভিযাত্রী বাহিনী পাঠিয়েছিলেন। আর এই নথিকে বেইজিং তার আঞ্চলিক দাবির সমর্থনে ব্যবহার করে।

তাইওয়ানের অনেকেই স্বশাসিত এই দ্বীপ ভূখণ্ডকে আলাদা রাষ্ট্র মনে করেন

১৬২৪ থেকে ১৬৬১ সাল পর্যন্ত উপনিবেশ হিসেবে সংক্ষিপ্ত ডাচ শাসনের অধীনে ছিল তাইওয়ান। এরপর ১৬৮৩ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত চীনের কিং রাজবংশ শাসন করে এই অঞ্চল।

সপ্তদশ শতকে চীন থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অভিবাসী তাইওয়ানে পৌঁছাতে শুরু করেন। চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের অস্থিতিশীলতা ও দুর্দশা থেকে পালিয়ে তাইওয়ানে আসেন তারা। তাদের বেশিরভাগই ছিলেন ফুজিয়ান প্রদেশের হোকলো চাইনিজ অথবা গুয়াংডং প্রদেশের হাক্কা চাইনিজ জনগোষ্ঠীর। আর তাদের বংশধররাই এখন পর্যন্ত এই দ্বীপের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী।

১৮৯৫ সালে চীন-জাপানের প্রথম যুদ্ধে জাপান জয়লাভ করে। সেই সময় জাপানের হাতে তাইওয়ানকে তুলে দেয় সেখানকার কিং সরকার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান আত্মসমর্পণ করে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের কাছ থেকে নেওয়া ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সম্মতিতে তাইওয়ান শাসন শুরু করে মিত্র চীন।

কিন্তু এর কয়েক বছর পর চীনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় এবং তৎকালীন নেতা চিয়াং কাই-শেকের সৈন্যরা মাও সেতুংয়ের কমিউনিস্ট সেনাবাহিনীর কাছে পরাজিত হন। কুওমিনতাং (কেএমটি) সরকারের বাকি সদস্য এবং তাদের সমর্থকরা— প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ১৯৪৯ সালে তাইওয়ানে পালিয়ে যান।

চীনের মূল ভূখণ্ডের বাসিন্দা হিসেবে পরিচিত এই গোষ্ঠী অনেক বছর তাইওয়ানের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। যদিও তারা সেখানকার জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশ। চিয়াং কাই তাইওয়ানে নির্বাসিত একটি সরকার গঠন করেন এবং পরবর্তী ২৫ বছর ধরে তিনি এই সরকারের নেতৃত্ব দেন।

চিয়াংয়ের ছেলে চিয়াং চিং-কুও ক্ষমতায় আসার পর অধিক-গণতান্ত্রিক সরকার কাঠামো প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেন। এ সময় তিনি কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতি ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধের সম্মুখীন হন এবং ক্রমবর্ধমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন চাপা পড়ে যায়।

পরবর্তীতে তাইওয়ানের ‘গণতন্ত্রের জনক’ হিসেবে পরিচিত প্রেসিডেন্ট লি তেং-হুই সাংবিধানিক পরিবর্তনের দিকে মনযোগ দেন। শেষ পর্যন্ত ২০০০ সালে এই দ্বীপে প্রথম কেএমটি সরকারের বাইরের কাউকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পথ তৈরি করেন তিনি। পরে নির্বাচনে চেন শুই-বিয়ান এই ভূখণ্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। 

তাইওয়ানের স্বীকৃতি?

মাও সেতুংয়ের সৈন্যদের সঙ্গে হেরে যাওয়ার পর তাইওয়ানে পালিয়ে যান চীনের নেতা চিয়াং কাই-শেক

তাইওয়ান আসলে কি, সেটি নিয়ে মতভেদ এবং বিভ্রান্তি আছে। তাইওয়ানের নিজস্ব সংবিধান, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা এবং সশস্ত্র বাহিনীতে প্রায় ৩ লাখ সক্রিয় সৈন্য রয়েছে।

চিয়াং কাই-শেকের তাইওয়ানে নির্বাসিত সরকার প্রথমে পুরো চীনের প্রতিনিধিত্ব করার দাবি জানায়, যদিও তাদের উদ্দেশ্য ছিল পুনর্দখল। এমনকি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চীনের আসন পায় চিয়াংয়ের নির্বাসিত সেই সরকার। শুধু তাই নয়, পশ্চিমা অনেক দেশ চিয়াংয়ের সরকারকে চীনের ‘একমাত্র সরকার’ হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়।

কিন্তু সত্তরের দশকে কিছু দেশ যুক্তি দিতে শুরু করে যে, চীনের মূল ভূখণ্ডে বসবাসরত শত কোটি মানুষের প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে তাইপে সরকারকে আর বিবেচনা করা যায় না। পরে ১৯৭১ সালে জাতিসংঘ অবস্থান পরিবর্তন করে বেইজিংকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয় এবং চিয়াং কাইয়ের সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। ১৯৭৮ সালে চীন তার অর্থনীতি উন্মুক্ত করতে শুরু করে। বাণিজ্যিক সুযোগ এবং সম্পর্কোন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে ১৯৭৯ সালে বেইজিংয়ের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এরপর থেকে চিয়াং কাইয়ের সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে ১৫টি হয়। বর্তমানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সব ধরনের বৈশিষ্ট্য এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও তাইওয়ান রাষ্ট্র নাকি ভূখণ্ড তা অস্পষ্ট রয়ে গেছে।

চীন-তাইওয়ানের সম্পর্ক কেমন?

ভ্রমণ এবং চীনে বিনিয়োগের বিধি শিথিল করায় আশির দশকের দিকে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটতে শুরু করে তাইওয়ানের। ১৯৯১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের (আরওসি) সাথে যুদ্ধ শেষের ঘোষণা দেয় এই ভূখণ্ড।

তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাই ​​ইং-ওয়েন। এই দ্বীপ ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক দল ডিপিপির নেতৃত্বে আছেন তিনি

চীন তথাকথিত ‘এক দেশ, দুই নীতি’ প্রস্তাবে বলেছে, সরাসরি বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে আসতে রাজি হলে তাইওয়ানকে অধিক-স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হবে। এই ব্যবস্থাটি ১৯৯৭ সালে হংকংয়ের চীনে প্রত্যাবর্তনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় এবং কিছু দিন আগে পর্যন্তও এই ব্যবস্থা মেনে শাসিত হয়েছিল হংকং। তবে বেইজিং বরাবরই হংকংয়ে প্রভাব বৃদ্ধি করতে চেয়েছিল।

কিন্তু চীনের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাইওয়ান এবং বেইজিং তাইওয়ানে নির্বাসিত সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করে। তবে চীন ও তাইওয়ানের অনানুষ্ঠানিক প্রতিনিধিরা এখনও সীমিত পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

২০০০ সালে চেন শুই-বিয়ান তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন; যা বেইজিংকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। চেন এবং তার রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) তাইওয়ানের ‘স্বাধীনতার’ শক্তিশালী সমর্থক।

২০০৪ সালে চেন পুনরায় নির্বাচিত হন। এর এক বছর পর চীন একটি তথাকথিত বিচ্ছিন্নতাবিরোধী আইন পাস করে। এতে ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীন বলপ্রয়োগ করতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়। চেন ২০০৮ সালে কেএমটির ম্যা ইং-জিউয়ের স্থলাভিষিক্ত হন এবং অর্থনৈতিক চুক্তির মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করেন।

এর ৮ বছর পর ২০১৬ সালে তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাই ​​ইং-ওয়েন নির্বাচিত হন। তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক দল ডিপিপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কোম্পানির ওপর চীন চাপ বাড়ালে উত্তেজনা প্রকট আকার ধারণ করে। ওই সময় সংস্থাগুলো তাদের ওয়েবসাইটে তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে তালিকাভূক্ত না করলে চীনে ব্যবসা করতে পারবে না বলে হুমকি দেয় বেইজিং।

তাইওয়ানের অর্থনীতি এখন চীনের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় এই দ্বীপ ভূখণ্ডের কিছু মানুষ উদ্বিগ্ন

২০২০ সালে রেকর্ডভাঙা ৮২ লাখ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত সাই ইং। সাইয়ের এই বিজয়কে বেইজিংয়ের জন্য চরম অপমানজনক হিসেবে দেখা হয়। তাইওয়ানের এই নির্বাচনের পর চীনের মূল ভূখণ্ডের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিরুদ্ধে হংকংয়ে কয়েক মাস ধরে অস্থিরতা চলে। সেই সময় তাইওয়ানের অনেকেই হংকং পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।

ওই বছরের শেষের দিকে হংকংয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে চীন। যা বেইজিংয়ের দাবির আরেকটি আলামত বলে মনে করা হয়।

তাইওয়ানের স্বাধীনতা কতটা সমস্যার?

রাজনৈতিক অগ্রগতি ধীর হলেও বেইজিং-তাইপের অর্থনৈতিক সংযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাইওয়ানের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে চীনে তাইওয়ানের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৯৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।

তাইওয়ানের অর্থনীতি এখন চীনের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় এই দ্বীপ ভূখণ্ডের কিছু মানুষ উদ্বিগ্ন। তবে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্কের ফলে চীনের সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনা কম বলে অনেকেই মনে করেন। কারণ এতে চীনের নিজস্ব অর্থনীতিরই ক্ষতি হবে।

২০১৪ সালে চীনের সাথে তাইওয়ানের স্বাক্ষরিত একটি বিতর্কিত বাণিজ্য চুক্তি ‘সূর্যমুখী আন্দোলন’ উসকে দিয়েছিল। এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী এবং সমাজকর্মীরা তাইওয়ানের সংসদ দখলে নেন। ওই চুক্তিকে তাইওয়ানের ওপর চীনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার অভিহিত করে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন তারা।
 
এদিকে, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ডিপিপি এখনও তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার পক্ষে থাকলেও কেএমটি চীনের সাথে চূড়ান্ত পুনরেকত্রীকরণ চায়।

তবে তাইওয়ানের বেশিরভাগ মানুষ এই দুইয়ের মধ্যে কোথাও আটকা পড়ে গেছেন বলে মনে হচ্ছে। গত জুনে পরিচালিত এক  সমীক্ষার ফলে দেখা যায়, মাত্র ৫ দশমিক ২ শতাংশ তাইওয়ানিজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ভূখণ্ডের স্বাধীনতা চান। অন্যদিকে, মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ একেবারে শুরুর সম্ভাবনায় মূল ভূখণ্ড চীনের সাথে একীভূত হয়ে যাওয়ার পক্ষে নিজেদের মত দেন।

রাজনৈতিক অগ্রগতি ধীর হলেও বেইজিং-তাইপের অর্থনৈতিক সংযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে

অনেকে তাইওয়ান বর্তমানে যেমন আছে, ঠিক তেমন রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। তাদের বৃহত্তম একটি অংশ স্বাধীনতা বা পুনরেকত্রীকরণের মতো কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে বরং অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্তমান অবস্থা বজায় রাখতে চান।

চীন-তাইওয়ান বিভাজনে যুক্তরাষ্ট্রের কী?

তাইপে-বেইজিং সংকটে ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের নীতি রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চীন যদি কখনও তাইওয়ানে আক্রমণ চালায় তাহলে সেখানে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে ওয়াশিংটন।

‘এক চীন’ নীতি নিয়ে আপত্তি থাকলেও বেইজিংয়ের চীনা সরকারকে কেবল স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে তাইপের পরিবর্তে বেইজিংয়ের সাথেই আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে ওয়াশিংটনের। তবে তাইওয়ানকে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চীনের যেকোনও ধরনের আক্রমণ ‘গুরুতর উদ্বেগের’ কারণ হবে।

গত মে মাসে তাইওয়ানকে যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে রক্ষা করবে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিবাচক জবাব দেন। এর পরপরই হোয়াইট হাউস তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অতীতের অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয়নি বলে জানায়। একই সঙ্গে ‘এক-চীন’ নীতির প্রতিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে হোয়াইট হাউস।

আর হোয়াইট হাউসের এই বিবৃতি তাইওয়ানের জন্য সামরিক সহায়তা নিয়ে বাইডেনের করা মন্তব্যের মতোই সাংঘর্ষিক বলে প্রতীয়মান হয়। তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। তাইপের প্রতি ওয়াশিংটনের যেকোনও ধরনের সহায়তা এবং সমর্থনের নিন্দা করেছে বেইজিং।

জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে যুদ্ধবিমানের রেকর্ড অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন।

বিবিসির প্রতিবেদন অবলম্বনে...

এসএস