৪৪ বছর আগে কেনা যুদ্ধবিমান এখনও ব্যবহার করে আসছিল ভারতীয় বিমানবাহিনী। এ কারণেই ২০১৯ সালে এক আলোচনা সভায় দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে প্রকাশ্যে তখনকার ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান বিএস ধানোয়া বলেছিলেন, ‘৪৪ বছর বয়স হয়ে গেলেও আমরা এখনও মিগ-২১ চালাচ্ছি। এত পুরোনো গাড়িও কেউ চালায় না।’

গত শতাব্দীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে কেনা ওই যুদ্ধবিমানের ব্যবহারের ফলে বিমানবাহিনীর পাইলটের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন এয়ার চিফ মার্শাল ধানোয়ার। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাজস্থানের বাড়মেরে মিগ-২১ ভেঙে দুই পাইলটের মৃত্যুর ঘটনা প্রমাণ করল, তিন বছরেও পরিস্থিতি বদলায়নি।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার এম রানা ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট আদিত্য বলের মৃত্যুর ঘটনায় ইতোমধ্যেই টুইটারে শোক প্রকাশ করেছেন রাজনাথ। যেমন গত তিন বছরে করেছেন মিগ-২১ ভেঙে গ্রুপ ক্যাপ্টেন একে গুপ্ত, স্কোয়াড্রন লিডার অভিনব চৌধুরীর মতো প্রতিভাবান পাইলটের মৃত্যুতেও। তবে এবারের ঘটনার জেরে মিগ-২১ পুরোপুরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে ভেঙে পড়ল ভারতীয় যুদ্ধ বিমান, নিহত ২

বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে রয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমানের চারটি স্কোয়াড্রন (ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি স্কোয়াড্রনে কম-বেশি ১৬টি বিমান থাকে)। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তার মধ্যে একটি, শ্রীনগরের ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রনের বিমানগুলোকে বাজেয়াপ্ত করা হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাজেয়াপ্ত করা হবে অন্য স্কোয়াড্রনের মিগ যুদ্ধবিমান এবং প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত বিমানগুলো।

গত তিন দশকে ২০০ বারেরও বেশি দুর্ঘটনায় পড়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর মিগ-২১। দুর্ঘটনাপ্রবণ বলে ভারতীয় বিমানবাহিনী মহলে ‘উড়ন্ত কফিন’ নামে পরিচিত এই যুদ্ধবিমান। কয়েক বছর আগেই মিগ২১-কে বাজেয়াপ্ত করে বিমানবাহিনীকে নতুন যুদ্ধ বিমান দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু তা এখনও গতি পায়নি বলে অভিযোগ।

এসএসএইচ