ভারতে করোনায় কমেছে মৃত্যু, শনাক্ত ২০ হাজারের ওপরেই
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে কমেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও। তবে তা রয়েছে এখনও ২০ হাজারের ওপরেই।
এছাড়া আগেরদিনের তুলনায় কমেছে দৈনিক সংক্রমণের হারও। শুক্রবার (২৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বিজ্ঞাপন
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৪০৯ জন। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৫৫৭ জন। অন্যদিকে গত একদিনে ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৬ হাজার ২৫৮ জনে।
এদিকে ভারতে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৮৮ জন। এই মুহূর্তে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের হার ৫.১২ শতাংশ। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ৪.৮২ শতাংশ। গোটা ভারতে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.৩৩ শতাংশ। দৈনিক সংক্রমণের দিক দিয়ে ভারতের যে রাজ্যগুলোতে পরিসংখ্যান সবচেয়ে উদ্বেগজনক তার মধ্যে রয়েছে কেরালা, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু এবং দিল্লি।
উদ্বেগের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে ভারতের সুস্থতার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনামুক্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৬৯৭ জন। এই মুহূর্তে দেশটিতে সুস্থতার হার ৯৮.৪৮ শতাংশ। মহামারির শুরু দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৩৩ লাখ ৯ হাজার ৪৮৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৩৮ লাখেরও বেশি মানুষ করোনার টিকা পেয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মোট ২০৩ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯৩ কোটি ২০ লাখ। বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৮ কোটি ৪৫ লাখ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজারের বেশি মানুষের।
এদিকে করোনা মহামারির মধ্যে ভারতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। ইতোমধ্যে দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও কেরালায় এই ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এই অবস্থায় মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিন তৈরিতে গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিন তৈরিতে ইচ্ছুক টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোকে সরকারের কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে। আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে এই আবেদন করা যাবে।
টিএম