মস্কোর কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে বলে পশ্চিমারা যে দাবি করেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে মিসর সফরে গিয়ে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে রাশিয়ার দায় অস্বীকার করেন তিনি।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে আরব লীগের রাষ্ট্রদূতদের এক অনুষ্ঠানে সের্গেই লাভরভ বলেছেন, বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তায় নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সম্পর্কে পশ্চিমা দেশগুলো সত্যকে বিকৃত করছে।

পশ্চিমারা অন্যান্যদের ওপর নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আরব বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এবং আফ্রিকায় ভয়াবহ খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের সমাধানে ইউক্রেনে আটকা পড়া কোটি কোটি টন খাদ্যশস্য রপ্তানির লক্ষ্যে শুক্রবার ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। তবে এই চুক্তির কয়েক ঘণ্টা না যেতেই শনিবার ইউক্রেনের বন্দরনগরী ওডেসায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। মস্কোর এই হামলা বিশ্বে খাদ্য শস্য রপ্তানি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে বলে নিন্দা জানিয়েছে ইউক্রেন।

যুদ্ধ ঘিরে তৈরি হওয়া তীব্র ক্ষোভ প্রশমনে আফ্রিকার তিন দেশে সফর করছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে  নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলোর আগ্রাসী মনোভাব ‘ইউক্রেন সম্পর্কে নয়; বরং বিশ্ব ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে’ একটি সহজ উপসংহার নির্দেশ করে।

‘তারা বলে প্রত্যেককে অবশ্যই একটি নিয়ম-ভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থায় সমর্থন জানাতে হবে। কিন্তু পশ্চিমারা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে সমাধান নিজেদের পক্ষে করার লক্ষ্যে নিয়ম তৈরি করে।’

এর আগে, মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শোকরির সাথে বৈঠক করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ । রাশিয়ার সঙ্গে মিসরের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর আগে মিসরে গম, অস্ত্র এবং অন্যান্য খাদ্যশস্য রপ্তানি করত রাশিয়া। এছাড়াও প্রত্যেক বছর  ব্যাপক সংখ্যক রুশ পর্যটকও মিসর ভ্রমণে যান।

শোকরির সাথে বৈঠকের পর লাভরভ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে তিনি বলেন, পশ্চিমারা ‘যুদ্ধ এবং যুদ্ধের পরিণতি’ বুঝতে পারলেও সংঘাত দীর্ঘায়িত করছে। আফ্রিকার তিন দেশ ইথিওপিয়া, উগান্ডা এবং কঙ্গো-ব্রাজাভিলে সফরের প্রথম পর্যায়ে বর্তমানে মিসরে রয়েছেন লাভরভ।

সূত্র: বিবিসি।

এসএস