পঞ্চম তলার জানালার ফাঁক গলে নিচে পড়তে থাকা দুই বছরের এক মেয়ে শিশুকে ধরে জীবন বাঁচিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন চীনা এক ব্যক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসার পাশাপাশি ওই ব্যক্তিকে ‘বীর’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন অনেকে।

মঙ্গলবার চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের টংজিয়াংয়ে রোমহর্ষক এই ঘটনা ঘটেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান টুইটারে শিশুটির জীবন বাঁচানো এই বীরত্বপূর্ণ উদ্ধারের একটি ভিডিও টুইট করেছেন। ছোট ভিডিও ক্লিপটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের বীর।’

আরও পড়ুন: যোগ্য পাত্র পাচ্ছেন না ব্রাজিলের তরুণীরা

ভিডিওতে দেখা যায়, ফোনে কথা বলতে বলতে একজন নারীর সাথে একটি ভবনের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন ওই ব্যক্তি। মুহূর্তের মধ্যে তিনি ফোন মাটিতে ছুড়ে মারেন এবং পঞ্চম তলার জানালা দিয়ে নিচে পড়তে থাকা শিশুটিকে ধরার জন্য দুই হাত সম্প্রসারিত করেন। ফুটপাতে আছড়ে পড়ার আগেই মেয়েটিকে ধরে ফেলেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে থাকা নারীও শিশুটিকে ধরার জন্য হাত বাড়িয়ে দেন। এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় শিশুটি।

টুইটারে শেয়ার করার পর থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। এই টুইটের নিচে একজন লিখেছেন, সত্যিকারের নায়করা শুধু সিনেমাতেই নয়, পৃথিবীতেও আছেন। অপর একজন লিখেছেন, ‘কিংবদন্তি ক্যাচ! এই দু’জনকে একটি পদক দেওয়া হোক।

তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘তিনি ফোনে কথা বলছিলেন। কিন্তু সেটি ছুড়ে ফেলে দেন এবং শিশুটিকে ধরেন। মন এবং শৈলীর আশ্চর্যজনক উপস্থিতি। এটা প্রায়ই অসম্ভব ছিল। রিল লাইফের নয়, তিনি বাস্তব জীবনের নায়ক।’

আরও পড়ুন: ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহে দু’জনকেই খুন করলেন স্বামী

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুটিকে ধরে জীবন বাঁচানো ওই ব্যক্তির নাম শেন ডং (৩১)। পঞ্চম তলার জানালা দিয়ে নিচে পড়ে যাওয়া শিশুটি চতুর্থ তলার বারান্দায় আঘাত পাওয়ায় প্রচণ্ড শব্দ হয়। আর সেই শব্দ শুনে ওপরের দিকে তাকিয়ে শিশুটিকে পড়তে দেখেন ওই ব্যক্তি। পরে ফোন ছুড়ে মেরে দৌড়ে গিয়ে শিশুটিকে ধরে ফেলেন তিনি।

এই ঘটনার পর শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। শিশুটি পায়ে এবং ফুসফুসে আঘাত পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। তবে বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

ডং বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, আমি বিস্তারিত মনে করতে পারছি না। আমি বাহুতে ব্যথা পেয়েছিলাম কিনা সেটিও মনে করছি পারছি না। আমার তাড়না ছিল, শিশুটিকে ধরে ফেলা।’

সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

এসএস