সিঙ্গাপুরে গোতাবায়াকে গ্রেপ্তারের দাবি
শ্রীলঙ্কায় কয়েক দশকের গৃহযুদ্ধে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন বলে অভিযোগ এনে সিঙ্গাপুরের অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছে একটি মানবাধিকার সংস্থা। দেশ থেকে পালিয়ে সিঙ্গাপুরে আশ্রয় নেওয়া গোতাবায়াকে এই অভিযোগের দায়ে গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইন্টারন্যাশনাল ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস প্রোজেক্ট (আইটিজেপি) নামের ওই সংস্থাটি বলেছে, ২০০৯ সালে গৃহযুদ্ধের সময় জেনেভা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছিলেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। সেই সময় তিনি দেশটির প্রতিরক্ষা প্রধান ছিলেন। এই অভিযোগের একটি কপি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স দেখতে পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দক্ষিণ আফ্রিকা-ভিত্তিক এই মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, সার্বজনীন এখতিয়ারের আওতায় এসব অভিযোগের বিচার সিঙ্গাপুরে করা যেতে পারে। কয়েক মাসের অর্থনৈতিক সংকটের জেরে দেশজুড়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি হওয়ায় সিঙ্গাপুরে পালিয়েছেন গোতাবায়া রাজাপাকসে।
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার একদিন পর গত ১৩ জুলাই সিঙ্গাপুর থেকে পদত্যাগপত্র ই-মেইলে পাঠিয়ে দেন রাজাপাকসে। অর্থনৈতিক সংকটে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে আসায় দেশটির সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সরকারি বাসভবনেও হামলা চালায়।
অভিযোগের খসড়া তৈরি করা আইনজীবীদের একজন আলেকজান্দ্রা লিলি ক্যাথার বার্লিন থেকে টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, শ্রীলঙ্কায় সংঘটিত উভয় অপরাধের যাচাইযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রমাণের ভিত্তিতে প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তিকে এই অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট করা হয়েছে, যিনি এখন সিঙ্গাপুরে রয়েছেন।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কায় জাতিগত সংখ্যালঘু তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের সাথে সরকারি বাহিনীর ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে। সেই সময় উভয়পক্ষ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করে বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী।
রাজাপাকসের বিরুদ্ধে দুটি দেওয়ানি মামলায় সহায়তা করেছিল আইটিজেপি। এর মধ্যে একটি ছিল ২০১৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় রাজাপাকসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা। তখন তিনি মার্কিন নাগরিক ছিলেন। গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর কূটনৈতিক দায়মুক্তি পান রাজাপাকসে। পরে তার বিরুদ্ধে দুই মামলাই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
এসএস