তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ইউরোপের মানুষের জনজীবন। এতে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাজ্য, স্পেন, ফ্রান্স, ডেনমার্ক এবং জার্মানি। তাপপ্রবাহের কারণে ইউরোপে ইতোমধ্যে দেড় হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের থাবা থেকে বাদ যায়নি বিমানবন্দর, রেল, সড়ক এমনকি সেতুও!

ব্রিটেনে ইতোমধ্যে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে তাপমাত্রা। দেশটিতে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছিল ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবার তা ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ব্রিটেন। তীব্র গরমের কারণে গাছপালায় আগুন ধরে যাচ্ছে।

তীব্র গরমে রাস্তার পিচ গলে যাচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়ছে যানবাহন চলাচলের ওপর। শুধু সড়ক নয়, রেলপথেও গরমের প্রভাবে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। কোথাও রেললাইন বেঁকে যাচ্ছে তো কোথাও রেললাইনে আগুন ধরে যাচ্ছে। রেললাইন ঠান্ডা রাখতে রং করার কাজ শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা একটি ছবিতে দেখা যায়, গরমের কারণে ট্রেনের সিগন্যাল গলে গেছে।

রেল, সড়ক তো আছেই, বিমান পরিবহনেও প্রভাব পড়েছে গরমের। তাপপ্রবাহের কারণে লন্ডনের লুটন বিমানবন্দরে রানওয়ে গলে গেছে। ফলে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখতে হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ টুইট করে বলেছে, ‘মেরামতের কারণে রানওয়ে পরিষেবা  সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।’

গরমের জেরে সেতুর কোথাও যেন ফাটল না ধরে সেজন্য লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী হ্যামারস্মিথ সেতু ফয়েল দিয়ে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেতুকে ঠান্ডা রাখতে ৪ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড খরচ করে বিশেষ তাপনিয়ন্ত্রক যন্ত্রও আনা হয়েছে।

ভয়াবহ এই তাপপ্রবাহে স্পেনে গত ১০ থেকে ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে অন্তত ৬৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফ্রান্সে দাবানলে পুড়ে গেছে ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জঙ্গল। গৃহহীন হয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ। ডেনমার্কে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। জার্মানিতেও ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে তাপমাত্রা। আনন্দবাজার।

এসএস