পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (ফাইল ছবি)

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে প্রাদেশিক পরিষদের উপনির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন বিরোধী রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। রোববার (১৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত এই উপনির্বাচনে ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে জয়লাভ করেছে ইমরানের দল।

ইতোমধ্যে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এই প্রদেশের নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করেছে। সোমবার (১৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

বেসরকারি ফলাফল অনুসারে, পিটিআই মধ্য পাঞ্জাবে পাঁচটি, উত্তরে পাঁচটি এবং দক্ষিণ পাঞ্জাবে বাকি আসন জিতেছে। পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল এই প্রদেশের ১৪টি জেলায় অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে ইমরান খানের দল লাহোরে একটি, দক্ষিণ পাঞ্জাবের তিনটি এবং উত্তরে একটি আসনে পরাজিত হয়েছে। এছাড়া ক্ষমতাসীন পিএমএল-এন মাত্র চারটি আসনে জিততে সক্ষম হয়েছে।

এদিকে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় পাঞ্জাবের দলীয় কর্মী ও ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার— বিশেষ করে পুলিশি হয়রানি এবং ‘সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট’ নির্বাচন কমিশনের চেষ্টার পরও পিএমএল-এন প্রার্থীদের পরাজিত করায় কর্মীদের অভিনন্দন জানান তিনি।

ইমরান খান পিটিআইয়ের মিত্র হিসেবে পরিচিত — পিএমএল-কিউ, মজলিস-ই-ওয়াহদাতুল মুসলিমীন (এমডব্লিউএম) এবং সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলকেও (এসআইসি)-ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এখান থেকে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় হলো একটি বিশ্বাসযোগ্য ইসিপির অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন করা। অন্য কোনো পথ দেশকে শুধুমাত্র বৃহত্তর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং আরও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার দিকেই নিয়ে যাবে।’

উল্লেখ্য, রোববার পাঞ্জাব প্রদেশের ১৪টি জেলায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে শেহবাজ শরীফকে ভোট দেওয়ায় ২০ জন পিটিআই সংসদ সদস্য ও পাঁচ সংরক্ষিত আসনের এমপির আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।

উপনির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ফের পাকাপোক্ত করলেন ইমরান খান। এছাড়া ক্ষমতা ছাড়ার পর এই প্রথম সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নিজেদের জনপ্রিয়তাও যাচাই করে নিলো পিটিআই।

টিএম