পশ্চিমের অস্ত্র ইউক্রেনের নিয়তি বদলাতে পারবে না: রাশিয়া
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইউক্রেনকে যতই অস্ত্র সহায়তা দিক, চলমান যুদ্ধে এসব সহায়তা ইউক্রেনের নিয়তিকে বদলাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার সর্বোচ্চ নিরপত্তা পরিষদ ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সচিব নিকোলাই পাত্রুশেভ।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় শহর খাবারোভস্কে কাউন্সিলের এক বৈঠকে পাত্রুশেভ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনকে যতই সামরিক সহায়তা দিক— রাশিয়া তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হবে না। আর এই যুদ্ধে ইউক্রেনের সামনে যে নিয়তি অপেক্ষা করছে, পশ্চিমা অস্ত্রতে তার কোনো পরিবর্তন হবে না।’
বিজ্ঞাপন
রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির সাবেক এই প্রধান আরও বলেন, ‘ইউক্রেন কেবল রাশিয়ার নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরপত্তার জন্যই সমস্যা হয়ে উঠছিল। রাশিয়া বাধ্য হয়েই এ যুদ্ধে নেমেছে এবং পূর্ণ শক্তি নিয়ে নেমেছে।
গত ৩০ জুন তুর্কমেনিস্তানের রাজধাী আশখাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, যে তিন লক্ষ্য নিয়ে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান চলছে, সেসব থেকে বিচ্যুত হয়নি রুশ সেনারা।
‘রুশবাহিনীর তিন লক্ষ্য হলো— ইউক্রেনের দনেতস্ক ও লুহানস্ককে (দনবাস অঞ্চল) স্বাধীন করা, এই দু’অঞ্চলের লোকজনকে নিরপত্তা দেওয়া এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত করা,’ সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন পুতিন।
এদিকে সম্প্রতি স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যতদিন ইউক্রেন শত্রুমুক্ত না হবে, ততদিন দেশটিকে সহায়তা দিয়ে যাবে ন্যাটো।
মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা দেশটিকে যে পরিমাণ আধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে, সেসবের সম্মিলিত ওজন ২৮ হাজার টন।
মূলত ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণার দু’দিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।
বুধবার ১৩৭তম দিনে গড়িয়েছে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অভিযান। এই চার মাস সময়ের মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লুহানস্ক, ইউক্রেনের দুই বন্দর শহর খেরসন ও মারিউপোল, দনেতস্ক প্রদেশের শহর লিয়াম, মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ার আংশিক এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রুশ বাহিনীর হাতে।
সূত্র: আরটি
এসএমডব্লিউ