যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (ফাইল ছবি)

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর কাছে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে বন্দুক হামলার ঘটনায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৪ জন। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বন্দুক হামলা ও হতাহতের ঘটনার পরই বন্দুক সহিংসতাকে মহামারি হিসেবে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

একইসঙ্গে দেশে বন্দুক সহিংসতার ‘মহামারি’ শেষ করতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

সোমবার সকালে শিকাগোর শহরতলী হাইল্যান্ড পার্কে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ শুরুর পরপরই সকাল সোয়া দশটার দিকে প্রথম গুলির শব্দ পাওয়া যায়। বন্দুক হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন কমপক্ষে আরও ২৪ জন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

পুলিশ বলছে, ওই বন্দুকধারী ছাদ থেকে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২২ বছর বয়সী রবার্ট ই ক্রিমো নামের এক যুবককে আগেই চিহ্নিত করেছিল হাইল্যান্ড পার্ক পুলিশ। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অল্প সময় ধাওয়া করার পরই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

হামলার এই ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে বন্দুক হামলার ঘটনায় তিনি ও তার স্ত্রী জিল বাইডেন ব্যথিত হয়েছেন।

ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্টে ভাষায়, ‘স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে বুদ্ধিহীন বন্দুক সহিংসতায় তিনি এবং তার স্ত্রী জিল হতবাক হয়েছেন। এই হামলা স্বাধীনতা দিবসে আমেরিকান সম্প্রদায়ের জন্য আবারও শোক নিয়ে এসেছে।’ 

যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান বন্দুক সহিংসতার রাশ টানতে সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেস বন্দুক নিয়ন্ত্রণে একটি বিল পাস করে। পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেটিতে স্বাক্ষর করে বিলটিকে আইনে পরিণত করেন। গত প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আগ্নেয়াস্ত্র আইন।

এই বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, জুনের শেষের দিকে কয়েক দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো উল্লেখযোগ্য বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি বন্দুক সহিংসতার মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই ছেড়ে দিতে যাচ্ছি না। তবে ‘আরও অনেক কাজ’ বাকি রয়েছে।’

বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি বন্দুক হামলা ও সহিংসতার ঘটনা অনেক বেড়েছে। ২০২২ সালে উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে।

টিএম