ইউক্রেন থেকে শস্য নিয়ে যাওয়ার সময় তুরস্কে রাশিয়ার জাহাজ আটক
মস্কো-কিয়েভের চলমান যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজ আটক করেছে তুরস্ক। আটককৃত রুশ ওই জাহাজে খাদ্য-শস্য বহন করা হচ্ছিল। তুরস্কে নিযুক্ত ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে সোমবার (৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
তুরস্কে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতের নাম ভ্যাসিল বোডনার। তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের রুশ-অধিকৃত অঞ্চল থেকে শস্য বহনকারী একটি কার্গো জাহাজকে তুরস্কের শুল্ক কর্তৃপক্ষ আটক করেছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে। জাহাজটি বর্তমানে বন্দরের প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে আছে, তুরস্কের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এটিকে আটক করেছে’।
বিবিসি বলছে, রাশিয়ার পতাকবাহী এই জাহাজটির নাম ঝিবেক ঝোলি। ইউক্রেনীয় বন্দর বার্দিয়ানস্ক থেকে তুরস্কের কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে কারাসু পর্যন্ত রুটে এই জাহাজটিকে ট্র্যাক করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার পতাকবাহী কার্গো এই জাহাজটি কোথা থেকে এসেছে বা কীভাবে এটিকে আটক করা হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে দখল করা ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড থেকে রাশিয়া শস্য চুরি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য রাশিয়া এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
বার্দিয়ানস্ক বন্দরটি ইউক্রেনের দক্ষিণ জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে আজভ সাগরের তীরে অবস্থিত। বার্দিয়ানস্ক থেকে রুশ এই জাহাজের প্রস্থানের খবর সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপ টেলিগ্রামে ঘোষণা করেন ইয়েভেন বালিতস্কি। তাকে সম্প্রতি দখলকৃত জাপোরিঝজিয়া অঞ্চলের গভর্নর হিসাবে নিযুক্ত করে রাশিয়া।
টেলিগ্রামে বালিতস্কি বলেন, ৭ হাজার টন শস্য ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, বন্দরটি থেকে সমুদ্রের মাইন পরিষ্কার করা হয়েছে এবং রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর ফ্লিট এই জাহাজগুলোর যাত্রার ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে’।
অবশ্য পরে তিনি জাহাজের পণ্য ও গন্তব্যের রেফারেন্স নিয়ে পোস্টটি এডিট করেন।
এছাড়া ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে জাহাজের প্রস্থান সম্পর্কে একটি ভিডিও সংবাদ প্রতিবেদনও বেশ কয়েকটি ক্রেমলিন-পন্থি টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রচার করা হয়। সেখানে এই জাহাজটিকে একটি পোতাশ্রয়ে রাশিয়ার নৌবাহিনীর পৃথক একটি জাহাজের সাথে দেখা গিয়েছিল।
টিএম