পাকিস্তানে এক লিটার পেট্রোলের দাম এখন ২৪৯ রুপি
পাকিস্তানে আবারও জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে ক্যাটাগরি ভেদে পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম বাড়ানো হয় ১৫ থেকে ১৮ রুপি পর্যন্ত। এতে করে প্রতি লিটার পেট্রোলের মূল্য গিয়ে পৌঁছে প্রায় আড়াইশো রুপিতে।
শুক্রবার (১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল এবং এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। শুক্রবার থেকেই দেশটিতে নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সরকার প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ১৪.৮৫ রুপি বৃদ্ধি করে। এতে করে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ২৩৩.৮৯ রুপি থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ২৪৮.৭৪ রুপিতে। এছাড়া হাই স্পিড ডিজেল (এইচএসডি) প্রতি লিটারে ১৩.২৩ রুপি বাড়িয়ে ২৬৩.৩১ রুপি থেকে ২৭৬.৫৪ রুপি করা হয়েছে।
একইসঙ্গে কেরোসিন তেলের দামও বাড়িয়েছে পাকিস্তান। অন্যান্য তেলের তুলনায় বৃহস্পতিবার দেশটিতে কেরোসিন তেলের দাম সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্তে লিটারে ১৮.৮৩ রুপি বাড়ানোর পর লিটার প্রতি এই তেলের দাম ২১১.৪৩ রুপি থেকে বেড়ে ২৩০.২৬ রুপি হয়েছে।
এছাড়া লো ডিজেল অয়েল (এলডিও)-এর দাম প্রতি লিটারে ১৮.৬৮ রুপি বেড়ে ২০৭.৪৭ থেকে ২২৬.১৫ রুপি করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে হারিয়ে শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বে নতুন জোট সরকার পাকিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর চার দফায় পেট্রোলের দাম ৮৪ রুপি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সরকার পেট্রোলে প্রতি লিটার পেট্রোলিয়াম শুল্ক ধার্য করেছে ১০ রুপি, এইচএসডিতে প্রতি লিটারে ৫ রুপি, কেরোসিন তেলে প্রতি লিটারে ৫ রুপি এবং এলডিও-তে প্রতি লিটারে ৫ রুপি।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, আইএমএফের সঙ্গে কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়েছে। আইএমএফের সাহায্য পাওয়ার ব্যাপারে তারা আশাবাদী।
তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তান মেমোরেন্ডাম অব ইকনোমিক অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল পলিসিজ (এমইএফপি) পেয়েছে। সপ্তম ও অষ্টম রাউন্ডের আলোচনার আগে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া তাই জরুরি। এই প্রোগ্রাম চালু করতে গেলে পেট্রোলিয়াম ডেভেলপমেন্ট লেভির পরিমাণ বাড়াতে হবে।
তার দাবি, ইমরান খান সরকার প্রতি মাসে পেট্রো-পদার্থের দাম লিটারপ্রতি চার রুপি করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তারা আইএমএফকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ভর্তুকিও দেয়। এর ফলে দেশের অর্থনীতি আরও চাপের মুখে পড়ে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিগত সরকারের নেওয়া কিছু কর্মসূচি তারা আবার শুরু করেছে। আর আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম বাড়ছে। তাই তাদেরও দাম বাড়াতে হচ্ছে।
টিএম