ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর নিকোলেভের একটি জাহাজ নির্মাণ কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। মঙ্গলবারের সে হামলায় কারখানাটিতে অবস্থান নেওয়া ৫০০ ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রায় সবাই নিহত হয়েছে।

বুধবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, মঙ্গলবার রুশ বিমান বাহিনীর ‘নির্ভুলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়’ ইউক্রেনীয় সেনাসদস্যদের নিহতের পাশাপাশি  সেনাবাহিনীর অস্ত্র-গোলাবারুদ ও সামরিক যানবাহনও ধ্বংস হয়েছে।

আরও বলা হয়, ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল লুহানস্কে লড়াইরত ইউক্রেনীয় বাহিনী নিজেদের ৬০ শতাংশ শক্তি ইতোমধ্যে হারিয়েছে।

নিকোলেভের ওই জাহাজ নির্মাণ কারখানায় হামলার ঘটনা স্বীকার করেছে ইউক্রেনও। বুধবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিকোলেভে একের পর এক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী এবং তার ফলে বন্দরের অবকাঠামো, কারখানা ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তবে সেনাসদস্যদের নিহতের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।

এদিকে মঙ্গলবার নিকোলেভে হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, বুধবার সকালে সীমান্তবর্তী রুশ প্রদেশ রোস্তভে ড্রোন হামলা করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। তবে ওই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণা দেওয়ার দু’দিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।

বুধবার ১১৮তম দিনে পৌঁছেছে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অভিযান। ইতোমধ্যে দেশটির দুই বন্দর শহর খেরসন ও মারিউপোল, দনেতস্ক প্রদেশের শহর লিয়াম এবং মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ার আংশিক এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রুশ বাহিনীর হাতে। বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লুহানস্কের সেভারদনেতস্ক শহরে ইউক্রেন সেনাদের সঙ্গে তীব্র সংঘাত চলছে রুশ বাহিনীর।

সূত্র: আরটি

এসএমডব্লিউ