ফাইল ছবি

পাকিস্তানে একটি নিরাপত্তা কোম্পানি খুলতে চায় চীন। তবে সে বিষয়ে চীনের একটি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন শেহবাজ শরীফের সরকার। পাকিস্তানের স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম এই তথ্য সামনে এনেছে বলে শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।

পাকিস্তানের এআরওয়াই নিউজের বরাত দিয়ে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, অন্য কোনো দেশ পাকিস্তানে নিরাপত্তা কোম্পানি খুলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।

বেশ কয়েকটি সূত্রের বরারত দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানে একটি নিরাপত্তা কোম্পানি গঠনের অনুরোধ করেছিল চীন। চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইসলামাবাদ সরকারের কাছে ওই অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল। তবে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনা সরকারের সেই অনুরোধে আপত্তি জানিয়েছে।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই বলছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে নানা অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি দেশটিতে চীনা নাগরিকদের ওপর হামলা বেড়েছে। বেলুচ বিদ্রোহীরা নিয়মিত চায়না পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডোর (সিপিইসি) অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা করছে।

এর আগে করাচি শহরে আত্মঘাতী হামলায় তিন চীনা নাগরিকসহ চারজন নিহত হয়। পরে একটি বেলুচ গোষ্ঠী সেই হামলার দায় স্বীকার করে। এসব আক্রমণের পরই ইসলামাবাদ পুলিশ সম্প্রতি প্রয়োজনীয় কর্মী ও সরঞ্জাম-সহ একটি বিদেশি নিরাপত্তা সেল গঠন করে। মূলত পাকিস্তানে ক্রমাগত চীনা নাগরিকদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হওয়া থেকে সুরক্ষিত রাখতেই ওই নিরাপত্তা সেল গঠন করা হয়।

একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, বিদেশি বিশেষ করে চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ইসলামাবাদ পুলিশের নিরাপত্তা সেলের কর্মক্ষমতা পর্যালোচনা করার পর একটি বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচলের সময় চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তার কাজে পুলিশ স্টেশনের এসএইচও, নিরাপত্তা বিভাগ বা টহল ইউনিট নিয়োজিত থাকবে।

এছাড়া চীনা নাগরিকদের আবাসনের চারপাশে টহল কর্মীদের মোতায়েন নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিরাপত্তারক্ষীদের বিবরণ পরীক্ষা ও যাচাই করবে পাকিস্তানের পুলিশ।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া গত সপ্তাহে একটি পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চীন সফর করেন এবং সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

টিএম