গাধা যে মোটেই হেলাফেলার প্রাণী নয়, তা প্রমাণ করে দিয়েছে পাকিস্তান। সম্প্রতি দেশটিতে এক অর্থনৈতিক সমীক্ষা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা বাড়ছেই! এমনকি পাকিস্তানের জিডিপিতে বড় অবদান রাখছে প্রাণীটি।

২০২১-২২ সালে পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০ লাখ। যা আগের বছর ছিল ৫৬ লাখ। সংখ্যার নিরিখে সারা বিশ্বে গাধা পালনে পাকিস্তানের স্থান তৃতীয়।

ভেড়া, মহিষ, ছাগল পালনেও অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে পাকিস্তান। কিন্তু গাধা পালন সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। গাধার জন্য প্রকারান্তরে জিডিপিও বেড়েছে পাকিস্তানের।

গাধা পালনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে পাকিস্তান। তারা নিজেদের উৎপাদিত গাধা চীনে রপ্তানি করে। যার মাধ্যমে আয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। চীনে পাকিস্তানি গাধার এতই প্রভাব যে, পাকিস্তানে তৈরি দ্য ডঙ্কি কিং নামের অ্যানিমেটেড ছবিটি চীনেও রিলিজ হয়েছিল!

সব মিলিয়ে লাইভস্টক খাতে অনেক বেশি মনোযোগ দিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি ক্ষেত্রেই গাধা পালন ও রপ্তানির প্রত্যক্ষ সুফল পেতে শুরু করেছে দেশটি।

এমএইচএস