যুক্তরাষ্ট্রে এবার গির্জার বাইরে গুলি, নিহত ৩
টেক্সাস ও ওকলাহোমার পর এবার বন্দুক হামলায় কাঁপল যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্য। সেখানে একটি গির্জার বাইরে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছেন দুইজন। পরে বন্দুকধারী নিজেও নিহত হয়েছেন।
এছাড়া উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে পৃথক বন্দুক হামলায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
এদিকে একের পর এক বন্দুক হামলা ও গোলাগুলিতে প্রাণহানির ঘটনায় রীতিমতো চাপ বাড়ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের ওপর। দেশজুড়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন আনার জোরাল দাবি উঠছে।
রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে আইওয়া অঙ্গরাজ্যের আমেসে একটি গির্জার বাইরে পার্কিংয়ে বন্দুকধারী গুলি করে দুই নারীকে হত্যা করে। কর্নারস্টোন চার্চের বাইরে হওয়া এই ঘটনার ঠিক পরই ওই হামলাকারী নিজেকে গুলি করেন। এতে নিহত হন তিনিও।
অন্যদিকে উইসকনসিনের মিলওয়াকির একটি কবরস্থানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা চলার সময় এক বন্দুকধারী এলোপাথাড়ি গুলি শুরু করে। এ ঘটনায় দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও অন্যজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পৃথক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ঘটনা নিয়ে স্টোরি কাউন্টি শেরিফের অফিসের প্রধান ডেপুটি নিকোলাস লেনি জানিয়েছেন, আমেস শহরের পূর্বে অবস্থিত মৌলবাদী খ্রিস্টানদের গির্জা কর্নারস্টোন চার্চের বাইরে গোলাগুলির এই ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটার সময় গির্জার ভেতরে অনুষ্ঠান চলছিল।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। অবশ্য তিনি মৃতদের পরিচয় দিতে পারেননি বা তাদের মধ্যে সম্পর্ক কী থাকতে পারে সেটিও জানাতে পারেননি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা ও এতে প্রাণহানির ঘটনা কিছুতেই থামছে না। গত বুধবার ওকলাহোমার তুলসায় একটি হাসপাতালে বন্দুকধারীর গুলিবর্ষণে চারজনের মৃত্যু হয়। নিহত হয় ওই বন্দুকধারী নিজেও।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, হঠাৎ করেই তুলসা শহরের সেন্ট ফ্রান্সিস হাসপাতাল এক ব্যক্তি হামলা চালায়। ওই হামলার কারণ কী ছিল তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
এর মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই টেক্সাসে একটি স্কুলে ভয়াবহ হামলায় নিহত হয় ১৯ শিশু শিক্ষার্থীসহ ২১ জন। রব এলিমেন্টারি স্কুলের ওই ঘটনায় কেঁপে ওঠে গোটা যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জোর দাবি উঠতে থাকে দেশজুড়ে।
টিএম