রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা হিসেবে দূরপাল্লার উন্নত রকেট সিস্টেম দেওয়া হবে বলে আগেই নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানালেন, বিশেষ শর্তে এই অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে ইউক্রেনকে।

বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘ইউক্রেনীয়রা আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, এই অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানো হবে না এবং রাশিয়ার সীমানার ভেতর কোনো স্থাপনাকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হবে না। কেবল নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে কিয়েভ।’

চলমান যুদ্ধে সামরিক সহায়তা হিসেবে মাস খানেক আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উন্নত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকারী অস্ত্র মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএলআরএস) চেয়েছিল ইউক্রেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তর পেন্টাগন এই আবেদনে সাড়া দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, ইউক্রেনকে এমএলআরএসের পরিবর্তে অপর একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকারী অস্ত্র হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (এইচআইএমএআরএস) পাঠানো হবে।

তারপর গত ১ জুন বাইডেন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেন— ইউক্রেনে নতুন আরও ৭০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা প্যাকেজ দেওয়া হবে এবং এই প্যাকেজের মধ্যে হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমও অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

গত শতকের নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য এই অস্ত্র তৈরি করেছিল দেশটির অস্ত্র প্রস্তুতকারী কোম্পানি লকহেড মার্টিন। ইতোমধ্যে আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ায় ব্যবহার করা হয়েছে এটি।

একবারে ৬টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা যায় এই সিস্টেম থেকে; আর এসব ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

বুধবার পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউক্রেনে এই অস্ত্র পাঠানো হলেও এখনই এটি ব্যবহার করতে পারবে না দেশটির সেনাবাহিনী।

‘কারণ এই রকেট সিস্টেম পরিচালনা পদ্ধতি শিখতে অন্তত তিন সপ্তাহ সময় লাগবে তাদের,’ রয়টার্সকে বলেন ওই কর্মকর্তা।

এসএমডব্লিউ