করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর ‘জিরো কোভিড’ নীতি নিয়েছে চীনের সরকার। এ নীতির আওতায় অনেক সুস্থ লোকজনকেও কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে।

দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে ঘটেছে এই ঘটনা। শুক্রবার রাতে বেইজিংয়ের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় জেলা চাওইয়াংয়ের ন্যানজিনইউয়ান আবাসিক এলাকার ১৩ হাজার মানুষকে জোরপূর্বক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি। ওই এলাকায় ২৬ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর এই ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার ন্যানজিনইউয়ানের লোকজনের উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সার্বিক মঙ্গলের জন্য ন্যানজিনইউয়ান আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের ২১ মে মধ্যরাত থেকে আগামী ৭ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।’

‘দয়া করে সহযোগিতা করুন। নইলে আমরা আইনানুগ পথ অনুসরণ করতে বাধ্য হব।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে দেখা গেছে, আবাসিক ভবনের বাইরে দাঁড় করানো বাসগুলোতে রাতের অন্ধকারে সারি দিয়ে ঢুকছেন শত শত মানুষ।

চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ন্যানজিনইউয়ানের অনেক বাসিন্দা। একজন লিখেছেন, ‘আমরা গত এপ্রিল মাসে ২৮ দিনের লকডাউন কাটিয়েছি। এবং করোনা টেস্টে আমারা সবাই নেগেটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছি। তারপরও কোয়ারেন্টাইনে যেতে হচ্ছে আমাদের।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে দেশে এখন যুদ্ধ চলছে।’

২০২০ সালে করোনা মহামারির শুরু থেকেই অবশ্য বেইজিংয়ের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে আছে চীনের সরকার। গত মাসেও সেখানে প্রায় ১ হাজার ৩০০ মানুষ করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন এবং নমুনা পরীক্ষার পর জানা গেছে তাদের সবাই ওমিক্রনে আক্রান্ত।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের পরিসংখ্যানের বিচারে এই সংখ্যা একেবারেই কম হলেও চীনের প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ ‘জিরো কোভিড নীতি’ গ্রহণের মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটি।  

এসএমডব্লিউ