উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা এর আগেও টিকার তথ্য চুরির অপচেষ্টা চালায় 

কোভিড-১৯ টিকার উদ্ভাবক মার্কিন কোম্পানি ফাইজারের টিকার তথ্য চুরির চেষ্টা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। তারা টিকার তথ্য ছাড়াও চিকিৎসা পদ্ধতি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। মঙ্গলবার এমন তথ্য জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। 

তবে উত্তর কোরিয়া ফাইজারের এসব তথ্য চুরি করতে সক্ষম হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা রুদ্ধদ্বার ও গোপন বৈঠকে দেশটির আইনপ্রণেতাদের এসব তথ্য জানান বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বিবিসিতে।

বিষয়টি নিয়ে ফাইজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল বিবিসি। কিন্তু ফাইজার কর্তৃপক্ষ এখনো তাতে সাড়া দেয়নি। ফলে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছিল এবং তাদের কোনো তথ্য চুরি হয়েছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথভাবে করোনার টিকা উদ্ভাবন করেছে ফাইজার

উত্তর কোরিয়ায় মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ে ধোঁয়াশা এখনো বিদ্যমান। কেননা দেশটির সরকারের দাবি উত্তর কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত মাত্র একজনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ে কোন তথ্য প্রকাশ করেনি সরকার।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সীমান্ত বন্ধ করে উত্তর কোরিয়া এক বছর ধরে সম্পূর্ণ একঘরে অবস্থায় রয়েছে। দেশটির হ্যাকাররা এর আগেও টিকার তথ্য চুরির অপচেষ্টা চালায়। 

গত বছরের নভেম্বরে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফ্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সরকারি সমর্থনপুষ্ট হ্যাকাররা ফাইজারসহ অন্তত নয়টি ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিতে আক্রমণ চালিয়েছে। উত্তর কোরিয়া এ নিয়ে মুখ খোলেনি তখন। 

তবে চীন থেকে ছড়ানোর পর বৈশ্বিক মহামারির রুপ নেওয়া করোনায় মাত্র একজন রোগী শনাক্ত হলেও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর কোরিয় অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ২০ লাখ ডোজ করোনা টিকা পেতে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

এএস