শিরিন আবু আকলেহ

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এলাকা সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিতে নিহত সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ মার্কিন নাগরিক ছিলেন বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনার যথাযথ ও অনুপুঙ্খ তদন্তও দাবি করেছেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম নিডস।

বুধবার এক টুইটবার্তায় টম নিডস বলেন, ‘মার্কিন-ফিলিস্তিনি সংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমি আশা করছি, ইসরায়েলের সরকার শিরিনের নিহত হওয়া ও অপর এক সাংবাদিক আহত হওয়র বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দেবে এবং অনুপুঙ্খ তদন্ত করবে।’

এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের ইইউ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা মূল অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

নিহত সাংবাদিক শিরিন আবু আখলেহ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার ফিলিস্তিন ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রতিবেদক ছিলেন। বুধবার ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর অঞ্চলের জেনিন শহরে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলার সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হন ৫১ বছর বয়সী এই সংবাদিক। এ সময় আলি সামৌদি নামে আরও এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

এক প্রতিবেদনে আলজাজিরা দাবি করেছে, ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন শিরিন আবু আকলেহ। আলজাজিরার নিদা ইব্রাহিম বলেছেন, কোন পরিস্থিতিতে শিরীন আবু আকলেহের মৃত্যু হয়েছে সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু এই ঘটনায় সামনে আসা একটি ভিডিওতে আবু আকলেহকে মাথায় গুলি করা হয়েছে বলে দেখা গেছে।

তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আল জাজিরার ওই সাংবাদিক সম্ভবত ফিলিস্তিনিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সেখানে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে বলেও জানানো হয়েছে সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখাপাত্র র‌্যান কোশাভ সেখানকার সংবাদমাধ্যম কান টিভিকে বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব হলো— এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সেনা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি যৌথ কমিশন গঠন করা হোক। সেই কমিশনের তদন্তে যদি ইসরায়েলি কেনো সেনা সদস্য দোষী হিসেবে সাব্যস্ত হয়, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জেনিনে অভিযান জোরদার করেছে। 

এসএমডব্লিউ