সেতু ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা সবার কাছেই পরিচিত। হরহামেশাই ঘটে এমন ঘটনা। এ ঘটনায় খুব একটা অবাক হওয়ার মতো কিছু হয়ত থাকে না। কিন্তু যখন সেতু ভাঙার কারণ হিসেবে বলা হয়, জোরে হাওয়া দেওয়ার কারণেই ঘটেছে এমন ঘটনা। তবে তাতে অবাক হতেই হয়।

সম্প্রতি ভারতের বিহারে একটি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটে। সেই দুর্ঘটনার কারণ শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে যান দেশটির কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি। তিনিই জানিয়েছেন এমন অভিজ্ঞতার কথা।

গত ২৯ এপ্রিল বিহারের সুলতানগঞ্জে নির্মাণাধীন এক সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। এতে কেউ হতাহত হননি। দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে খবর নিচ্ছিলেন মন্ত্রী গড়কড়ি। তখনই এক আইএএস অফিসার তাকে বলেন, জোরে হাওয়া দেওয়ার কারণেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই ব্রিজ। যা শুনে তাজ্জব হয়ে যান গড়কড়ি।

তার কথায়, গত ২৯ এপ্রিল ওই সেতুটি ভেঙে পড়েছিল। আমার সচিবকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, জোরে হাওয়া দিচ্ছিল বলেই ওই ঘটনা ঘটেছে। আমি তো বুঝতেই পারছিলাম না কি করে স্রেফ জোরে হাওয়া দিলেই কোনো ব্রিজ ভেঙে পড়তে পারে। কিছু না কিছু সমস্যা তো ছিলই। মানের সঙ্গে কোনো রকম আপস না করে আমাদের ভালো কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেছেন, দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে খারাপ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার দিকটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। ১৭১০ কোটি টাকা খরচে নির্মাণাধীন একটা সেতুর একাংশ এভাবে হাওয়ার দাপটে ভেঙে পড়তে পারে না।

২০১৪ সালে সুলতানগঞ্জ ও আগুনি ঘাটের মধ্যবর্তী ওই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালের মধ্যেই সেতুটির নির্মাণ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যা ও করোনা পরিস্থিতিতে এখনও সেই কাজ শেষ হয়নি।

এসএসএইচ