ছবি: উইয়ন

ইউক্রেনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর ও দেশটির সাবেক রাজধানী খারকিভে একটি বড় অস্ত্রের চালান ধ্বংসের দাবি করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জন্য সহায়তা হিসেবে এসব অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে এসেছিল বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

খারকিভের বোগোদুখোভ রেলস্টেশনে এসব অস্ত্রের চালান ধ্বংস করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন অবশ্য রাশিয়ার এই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি; কারণ, ইউক্রেনের সরকারের কোনো মুখপাত্র এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে জানা গেছে, বোগোদুয়েভ রেলস্টশন ও তার আশপাশের এলাকায় গত শুক্র ও শনিবার মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ করেছে রুশ বাহিনী।

ইউক্রেনের সরকারের এক মুখপাত্র অবশ্য সিএনএনকে বলেছেন, শনিবার ভোরের দিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ দনেতস্কের বাখমাত শহরের একটি কারখানায় গোলাবর্ষণ করেছে রুশ বিমানবাহিনী। এতে কারখানাটি ধ্বংস হওয়াসহ দুই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ অভিযোগ সম্পর্কে বলেছেন—কারখানা নয়, বাখমাতের একটি সেনা ঘাঁটির গোলাবারুদের ডিপোতে বিমান হামলা করা হয়েছে এবং কেউ হতাহত হয়নি।

পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালানোর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ ঘোষণা দেওয়ার দু’দিন আগে, ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।

শুক্রবার ৭১ তম দিনে পৌঁছেছে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযান। ইতোমধ্যে খেরসন, মারিউপোলসহ ইউক্রেনের কয়েকটি শহরের দখল নিয়েছে রুশ সেনারা।

এসএমডব্লিউ