ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (ফাইল ছবি)

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে মস্কোর সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে রাশিয়াকে একটি রেডলাইন নির্ধারণ করে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার সাথে যেকোনো শান্তি চুক্তি নির্ভর করছে রুশ সামরিক বাহিনীর প্রাক-আক্রমণের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার ওপর।

অর্থাৎ শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে হলে রুশ সেনাদের হামলা শুরুর আগের অবস্থানে ফিরতে হবে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। শনিবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের একটি থিংক ট্যাংকের সঙ্গে কথা বলার সময় ভলোদিমির জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, হামলা শুরুর আগের অবস্থানে রুশ সেনাদের ফেরার চেয়ে কম কিছু তার দেশ মেনে নিতে পারে না।

জেলেনস্কি বলেন, তিনি ‘ইউক্রেনের নেতা, মিনি-ইউক্রেনের নয়’। অবশ্য এসব কথা বলার সময় ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়ার কথা উল্লেখ করেননি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। রাশিয়া বর্তমানে মারিউপোল শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই করছে।

রাজধানী কিয়েভ থেকে লন্ডনের চ্যাথাম হাউস থিংক ট্যাংকের সাথে কথা বলার সময় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়া যেসব ভূখণ্ড দখল করেছে সেসব এলাকায় এখনও তাদের (রাশিয়ার) দখলদারিত্ব ধরে রাখার প্রশ্নই উঠতে পারে না।

বিবিসি’র এক প্রশ্নের জবাবে যুদ্ধ শুরুর একদিন আগের কথা টেনে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থামাতে ২৩ ফেব্রুয়ারির মতো পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে ইউক্রেনের জনগণ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছে, কোনো ধরনের মিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট।’

বিবিসি বলছে, ইউক্রেন ২৩ ফেব্রুয়ারির মতো অবস্থান ফিরে পেতে চাইছে, এর অর্থ ২০১৪ সালে রাশিয়ার কাছে হাতছাড়া হওয়া ক্রিমিয়া পুনরায় ফিরে পাওয়ার বিষয়ে খুব বেশি ভাবছে না কিয়েভ। আট বছর আগে ইউক্রেনের এই অঞ্চলটি রুশ ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে মস্কো।

এদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কূটনৈতিক সংলাপ পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, ‘তারা আমাদের সকল সেতু ধ্বংস করে দিলেও, আমি মনে করি সকল সেতু এখনও ধ্বংস হয়নি, এমনকি রূপকভাবে বলতে গেলেও।’

অবশ্য আলোচনার প্রক্রিয়া ‘অচলাবস্থায়’ থমকে আছে বলে দাবি করেছে  রাশিয়া।

টিএম