ফাইল ছবি

মোবাইল অ্যাপভিত্তিক ট্যাক্সি সেবার অন্যতম বৃহৎ নেটওয়ার্ক উবার বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বছরের প্রথম তিন মাসে বৈশ্বিক এই রাইড-শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানটি ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন বা ৫৯০ কোটি মার্কিন ডলার হারিয়েছে।

আর্থিক এই ক্ষতির বেশিরভাগই হয়েছে অন্যান্য কোম্পানিতে উবারের অংশীদারিত্বের কারণে। বৃহস্পতিবার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

রাইড-শেয়ারিং সার্ভিস খাতে বৈশ্বিক জায়ান্ট এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আর্থিক ক্ষতির প্রায় পুরোটাই হয়েছে এশিয়ার পৃথক দু’টি রাইড-শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় বিনিয়োগের মূল্য হ্রাসের ফলে। এশিয়াভিত্তিক এই দু’টি রাইড-শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের নাম চীনের দিদি এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াভিত্তিক গ্র্যাব।

বিবিসি বলছে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে দিদি ও গ্র্যাবের শেয়ারের দাম কমে গেছে। অবশ্য বিপুল এই আর্থিক ক্ষতি সত্ত্বেও উবারের প্রধান করোনা মহামারির প্রভাব থেকে ফের পুনরুজ্জীবিত হওয়াসহ প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছেন।

উবার বলছে, গত বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে উবারে ট্রিপের সংখ্যা বেড়েছে ১৮ শতাংশ। এর ফলে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে উবারের আয় বেড়েছে ১৩৬ শতাংশ।

উবারের প্রধান নির্বাহী দারা খোসরোশাহী বলেছেন, ‘করোনা মহামারি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা কতটা অগ্রগতি করেছি তা এই ফলাফলেই স্পষ্ট। একইসঙ্গে আমাদের প্লাটফর্মের শক্তি আমাদের ব্যবসায়িক কর্মক্ষমতাকেও আলাদা করেছে, যা এই ফলাফলে পরিষ্কার।’

অন্যদিকে বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে উবারের নেট ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯০ কোটি মার্কিন ডলারে। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। মূলত চীনা রাইড-শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান দিদি’র শেয়ারের মূল্য কমেছে ৫৬০ কোটি মার্কিন ডলার।

উবারের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেলসন চাই অবশ্য বলছেন, বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির পরও লোকসান হওয়া স্টকগুলো ধরে রাখার জন্য উবারের কাছে যথেষ্ট নগদ অর্থ রয়েছে এবং সেগুলো বিক্রি করতে আরও ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তবে বুধবার নিউইয়র্কে উবারের শেয়ার ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম দামে বিক্রি হয়েছে।

টিএম