গিনেস বুকের আরও ৩ রেকর্ড চুরমার করলেন বিশ্বের লম্বা নারী
বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নারী হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া ‘রুমেইশা গেলগি’ গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের আরও তিনটি রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছেন। ২৫ বছর বয়সী তুরস্কের এই নারী এখন বিশ্বের পাঁচটি রেকর্ডসের অধিকারী বলে জানিয়েছে গিনেস কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই শেষে রুমেইশার নতুন তিনটি রেকর্ডসের তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞাপন
নতুন তিন রেকর্ড
• বিশ্বে জীবিত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘতম আঙুল (নারী) : ১১ দশমিক ২ সেন্টিমিটার (৪ দশমিক ৪০ ইঞ্চি)
• জীবিত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় হাত (নারী) : ডান হাত ২৪ দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটার (৯.৮১ ইঞ্চি) এবং বাম হাত ২৪ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার (৯.৫৫ ইঞ্চি) দীর্ঘ
• বিশ্বে জীবিত ব্যক্তিদের মধ্যে দীর্ঘতম পিঠ (নারী): ৫৯ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার (২৩.৫৮ ইঞ্চি)
রুমেইশা গেলগির জন্ম ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি। পেশায় আইনজীবী, গবেষক এবং ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপার হিসাবে কাজ করেন তিনি। গত বছরের অক্টোবরে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা জীবিত নারীর তকমা পেয়েছেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কাছ থেকে।
রুমেইশার উচ্চতা সাত ফুট ০ দশমিক ৭ ইঞ্চি। ২০১৪ সালে রুমেইশার বয়স যখন ১৮, তখনও বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মেয়ে হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তার নাম উঠেছিল। জন্ম থেকেই উইভার সিন্ড্রোমে আক্রান্ত রুমেইশা। উইভার সিন্ড্রোম এক ধরনের বিরল জিনগত রোগ। এই রোগে আক্রান্তরা অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকেন।
ইউটিউবে গিনেস কর্তৃপক্ষের শেয়ার করা একটি ভিডিও রয়েছে। যেখানে রুমেইশাকে নিজের এবং জন্মগতভাবে যে রোগটি হয়েছিল তার সেসম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ছোটবেলায় আমি অনেক বঞ্চনার শিকার হয়েছি। কিন্তু লম্বা হওয়ার অন্যতম সুবিধা হল আপনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করতে পারবেন।
তুরস্কের এই নারী বলেন, আমি কিশোরী বয়সে ২০১৪ সালে আমার প্রথম রেকর্ডের খেতাব পেয়েছিলাম। তারপর থেকে আমি এই খেতাব আমার রোগ ও বঞ্চনার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যবহার করছি। এজন্য আমি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ।
বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা এই নারী শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে বর্তমানে হুইল চেয়ারে করে চলাফেরা করেন। তবে দিনের অল্প কিছু সময় তিনি হাঁটেন।
এসএস