ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ফের শক্তি প্রদর্শন কিমের
উত্তর কোরিয়া আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। বুধবার (৪ মে) দুপুরে দেশটির পূর্ব উপকূলীয় সমুদ্রে পিয়ংইয়ং এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।
মূলত উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক শক্তিকে ‘যতটা সম্ভব দ্রুততম গতিতে’ আরও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রায় সপ্তাহখানেক পরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের এই ঘটনা ঘটল। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা-সহ এনিয়ে চলতি বছর উত্তর কোরিয়া ১৪ বার বড় ধরনের অস্ত্র পরীক্ষা চালাল। এছাড়া আগামী ১০ মে দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। নতুন এই প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আসার মাত্র কয়েকদিন আগে কিম জং উনের শক্তি প্রদর্শনের এই পরীক্ষা দক্ষিণের ওপর অনেকটাই চাপ বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের সুনান এলাকায় বুধবার দুপুরের দিকে তারা একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে। এই সুনান থেকেই গত ২৪ মার্চ ‘হোয়াসং-১৭’ নামের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া।
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি শনাক্ত করেছে জাপানের কোস্ট গার্ডও। তারা বলছে, বুধবার উৎক্ষেপণ করা উত্তর কোরিয়ার এই মিসাইলকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে মনে হয়েছে এবং এটি ইতোমধ্যেই ভূমিতে অবতরণ করেছে।
অবশ্য ক্ষেপণাস্ত্রটির উড্ডয়ন পরিসীমা ও উচ্চতা-সহ অন্যান্য বিবরণ তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সাত দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। সপ্তম দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর জরুরি বৈঠক করে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি)।
পরে এনএসসি জানায়, উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি মধ্যমপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইআরবিএম) এবং ২০১৭ সালের পর থেকে ওইদিন পর্যন্ত পিয়ংইয়ং এই ধরনের মিসাইল আর পরীক্ষা করেনি।
উত্তর কোরিয়ার মতো অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত দেশ কীভাবে একের পর এক এমন পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে বহু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যদিও একের পর এক পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ।
টিএম