হতাশা কাটাতে ও তারুণ্য ধরে রাখতে নিজের মূত্রপান করেন তিনি
প্রত্যেকদিন নিজের মূত্রপান করায় হতাশা কেটে যায় এবং বয়সের তুলনায় ১০ বছরের কম বয়সী তরুণ দেখায় বলে দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডের বাসিন্দা হ্যারি মাতাদিন। ২০১৬ সাল থেকে নিজের মূত্রপান করে আসছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে ৩৪ বছর বয়সী ওই যুবকের অদ্ভূত এই কাণ্ডের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে মাতাদিন ২০১৬ সাল থেকে নিজের মূত্রপান করা শুরু করেন।
বিজ্ঞাপন
মাতাদিন বলেছেন, ‘মূত্র থেরাপি তার মাঝে শান্তি, শান্ত থাকা এবং সংকল্পের একটি নতুন অনুভূতি তৈরি করেছিল। যে কারণে তিনি নিজের মূত্রপানের পক্ষে সমর্থক হয়ে ওঠেন।’
তার বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পোস্ট বলেছে, নিজের মূত্রপান করার পর কতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠেন, তা বুনো কল্পনার বাইরেও বলে জানিয়েছেন তিনি। মূত্রপান করার পর মুহূর্ত থেকে এটি আমার মস্তিষ্ককে জাগিয়ে তোলে এবং বিষণ্নতা দূর করে।
যে কারণে অদ্ভূত এই চর্চার ব্যাপারে ভাবতে বাধ্য হন মাতাদিন; যা কোনও খরচ ছাড়াই তাকে সুখী করে তোলে। ব্রিটিশ এই যুবকের মতে, তিনি দৈনিক প্রায় ২০০ মিলিলিটার নিজের মূত্রপান করেন। আর এই মূত্র এক মাস আগে বোতলে ভরিয়ে রাখেন। পান করার সময় নতুন মূত্রের সাথে সেগুলো মিশিয়ে তারপর পান করেন।
তার মূত্র একেবারে ‘সুপার ক্লিন’ বলেও দাবি করেছেন মাতাদিন। তবে তিনি বলেছেন, এক মাস আগের মূত্রের বেশিরভাগই দুর্গন্ধযুক্ত। তবে এর স্বাদ পরিশোধিত; যা তাজা প্রস্রাবের চেয়ে বেশি ভালো লাগে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পান করার পাশাপাশি তিনি নিজের মূত্রকে ‘ময়েশ্চারাইজার’ হিসেবে মুখেও ব্যবহার করেন। নিজের মূত্র ছাড়া ত্বক পরিচর্যাকারী অন্য কোনও পণ্য তিনি ব্যবহার করেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। ত্বকের পরিচর্যায় নিজের মূত্রকে অন্যতম বলে দাবি করেছেন মাতাদিন।
তবে পরিবারের সদস্যরা এমন উদ্ভট অভ্যাস মেনে নিতে পারেননি বলে স্বীকার করেছেন মাতাদিন। ব্রিটিশ এক চিকিৎসক নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, নিজের মূত্রপানের এই অভ্যাসের অনেক প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এর ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত এবং সম্ভাব্য ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিতে পারে।
সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট।
এসএস