ছবি: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি সুন্নি মসজিদে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েক জন মানুষ। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ মুখপাত্র বিসমিল্লাহ হাবিব রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিসমিল্লাহ হাবিব বলেন, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে খলিফা সাহিব মসজিদে এই হামলা ঘটেছে। কাবুলের পশ্চিমাংশে অবস্থিত এই মসজিদটি।

‘জুমার নামাজ শেষে জিকির চলছিল মসজিদটিতে, সে সময়েই ঘটে বিস্ফোরণ,’ রয়টার্সকে বলেন বিসমিল্লাহ হাবিব।

হামলার সময় মসজিদে উপস্থিত এক ব্যক্তির জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের তেজে মসজিদের ছাদ ও দেওয়ালের কিছু অংশ উড়ে গেছে। তার নিজের হাত ও পা পুড়ে গেছে বলেও জানার ওই ব্যক্তি।

খলিফা সাহিব মসজিদটির নিকটবর্তী একটি ভবনের বাসিন্দা মোহাম্মদ সাবির জানান, বিস্ফোরণের পর বেশ মসজিদের ভেতর থেকে বেশ কয়েকজন আহত মানুষকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে দেখেছেন তিনি।

রয়টার্সকে সাবির বলেন, ‘প্রচণ্ড শব্দ হয়েছিল বিস্ফোরণের সময়। আমি আশঙ্কা করছিলাম, আমার কানের পর্দা ফেটে গেছে।’

কাবুলের শহরতলি এলাকার একটি ইমার্জেন্সি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খলিফা সাহিব মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের প আহত অন্তত ২০ জনকে চিকিৎসা দিচ্ছেন তার। অপর এক হাসপাতালের নার্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেন, আহত বেশ কয়েকজন চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

গত কয়েক সপ্তাহে আফগানিস্তানের অঞ্চলে কয়েক দফা বোমা হামলা হয়েছে। এসব হামলায় প্রায় ১০০ বেসামরিক আফগান নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন শতাধিক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব হামলা ঘটেছে আফগানিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিমদের মসজিদে।

তবে হামলাকারীদের কবল থেকে দেশটির সংখ্যাগুরু সুন্নি সম্প্রদায়ের লোকজনও যে মুক্ত নন, তার সর্বশেষ উদাহারণ কাবুলের খলিফা সাহিব মসজিদ। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজের একটি সুন্নি মসজিদে বোমা হামলা হয়েছিল, তাতে নিহত হয়েছিলেন ৩৩ জন।

খলিফা সাহিব মসজিদে হামলার দায় এখনও কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বীকার করেনি, তবে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আফগানিস্তান শাখা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএস-কে) এই হামলার জন্য দায়ী।

২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের জাতীয় ক্ষমতা দখল করে তালেবানগোষ্ঠী। তারপর থেকেই দেশটির বিভিন্ন মসজিদে একের পর এক বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তালেবানগোষ্ঠীর প্রধান বৈরীপক্ষ আইএস-কে।

এসএমডব্লিউ