ইলন মাস্কের অধীনে টুইটারের ভবিষ্যৎ ‘অন্ধকার’
রেকর্ড ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটার কিনে নিয়েছেন মার্কিন ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। টুইটারের পরিচালনা পর্ষদ ইলন মাস্কের ৪৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব গ্রহণও করেছে।
এই পরিস্থিতিতে ইলন মাস্কের অধীনে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভবিষ্যৎ ‘অন্ধকার’ বলে মন্তব্য করেছেন টুইটারের বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরাগ আগরওয়াল।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৫ এপ্রিল) সংস্থাটির কর্মীদের কাছে এই মন্তব্য করেন তিনি। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইটারের প্রধান নির্বাহী পরাগ আগরওয়াল সোমবার কর্মীদের বলেছেন, বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কের অধীনে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট এই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। একইসঙ্গে টুইটারের ভবিষ্যতের কার্যপ্রণালী ব্যহত হবে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। কর্মীদের উদ্দেশে টাউন হল মিটিংয়ে পরাগের দেওয়া এই বক্তব্য রয়টার্স শুনেছে।
টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরাগ আগরওয়াল বলেন, ‘টুইটার এক বার হস্তান্তর হয়ে গেলে আমরা জানি না এই প্লাটফর্মটি কোন দিকে যাবে, কিভাবে কাজ করবে।’
এদিকে সদ্য মালিকানা পাওয়া ইলন মাস্ক খুব শিগগিরই টুইটারের কর্মীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে কথা বলবেন বলেও সংস্থাটি নিজেদের কর্মীদের জানিয়েছে।
এর আগে সোমবার টুইটার কিনে নেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ৪৪ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে এই মাইক্রোব্লগিং সাইটের মালিকানা পেলেন তিনি। শেয়ার কেনার জন্য পুরো অর্থই মাস্ক নগদে শোধ করছেন বলেও জানা গেছে।
টুইটার বোর্ডের পক্ষ থেকে ব্রেট টেলর জানান, দীর্ঘ বৈঠকের পর মাস্কের প্রস্তাব লাভজনক বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংস্থার কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, টুইটারের প্রত্যেক শেয়ার হোল্ডারের জন্য এই সিদ্ধান্তই সবচেয়ে ভালো।
অবশ্য টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালও তখন বলেন, ‘টুইটারের একটি উদ্দেশ্য এবং প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। যা সারা বিশ্বকে প্রভাবিত করে। আমাদের পুরো দলের জন্য আমি ভীষণ গর্ব অনুভব করছি।’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিপুল অর্থের বিনিময়ে টুইটারের ৯.২ শতাংশ মালিকানা কিনে নেন ইলন। তবে পরবর্তীতে সংস্থার পুরো মালিকানা নেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। ইলনের দাবি ছিল, তিনি টুইটারের অংশীদার হওয়ার সময়ে ভেবেছিলেন টুইটার বিশ্বজুড়ে বাকস্বাধীনতার মূল মাধ্যম হয়ে উঠবে।
কিন্তু বিনিয়োগ করার পরেই তিনি উপলব্ধি করেন, অনেক মালিকানা থাকলে তা কখনোই সম্ভব নয়। তাই বাকস্বাধীনতাতে জোর দিতেই তিনি একক মালিকানা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলেও দাবি মাস্কের।
টিএম