আবাসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গ শহর বৈশ্বিক বিচারে সবচেয়ে সাশ্রয়ী শহর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে; আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে হংকং।

বিশ্বজুড়ে আবাসন খরচ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সমীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শীর্ষ অনলাইন জার্নাল সাইট ডেমোগ্রাফিয়া। ‘ইন্টারন্যাশনাল হাউজিং স্টাডি’ নামের এই সমীক্ষাটি শেষে বিশ্বের ৯২টি শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে ডেমোগ্রাফিয়া।

এই তালিকায় প্রথম স্থানে আছে পিটসবার্গ, অর্থাৎ আবাসন খাতের বৈশ্বিক বাজার বিবেচনায় বর্তমানে সবচেয়ে সাশ্রয়ী যুক্তরাষ্ট্রের এই শহরটি। অন্যদিকে এই তালিকায় সবার শেষে, ৯২তম স্থানে থাকা হংকং বৈশ্বিক বাজারে আবাসন খাতে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের নামও রয়েছে ডেমোগ্রাফিয়ার তালিকায়। এই শহর দু’টির অবস্থান যথাক্রমে ৭৩তম ও ৭৯তম।

গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই বাড়ি কেনার জন্য সবচেয়ে সাশ্রয়ী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সমীক্ষা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র বাদে অন্যান্য দেশ যেমন- অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, হংকং, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং যুক্তরাজ্যসহ বড় অর্থনীতির দেশগুলোতে মহামারি চলাকালে বাড়ির দাম বেড়েছে অনেকাংশে। মূল্য বৃদ্ধির প্রধান কারণ, এসব দেশে ক্রেতারা লকডাউনের সময় তাদের সঞ্চয় ঢেলেছেন রিয়েল এস্টেট ক্রয়ে।

সমীক্ষার মূল পরিচালক ও বৈশ্বিক আবাসন বিশেষজ্ঞ ওয়েন্ডেল কক্স এক প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে বলেছেন, ‘মহামারি চলাকালে বিশ্বজুড়ে মানুষের আবাসন ক্রয়ক্ষমতা অস্বাভাবিকভাবে কমেছে।’ ২০২১ সালে বাড়ির দামের সঙ্গে মানুষের আয়ের তুলনা করে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ডেমোগ্রাফিয়ার তালিকা অনুযায়ী আবাসন ক্রয়ে সবচেয়ে সাশ্রয়ী ৫ শহর হলো— ১. পিটসবার্গ (পেনসিলভানিয়া, যুক্তরাষ্ট্র), ২. ওকলাহোমা সিটি (যুক্তরাষ্ট্র ), ৩. রচেস্টার (নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র), ৪. অ্যাডমন্টন (আলবার্টা, কানাডা)  ৫. সেন্ট লুইস (যুক্তরাষ্ট্র)।

আর এই তালিকায় থাকা সবচেয়ে ব্যয়বহুল ৫ শহর হলো— ১. হংকং (চীন), ২. সিডনি (অস্ট্রেলিয়), ৩. ভ্যানকুভার (কানাডা), ৪. সান জোসে (যুক্তরাষ্ট্র), ৫. মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)। 

এদিকে, আবাসন খরচ বাড়তে থাকায় আগামী দুই বছরের জন্য অধিকাংশ বিদেশিদের বাড়ি কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে কানাডা। সেইসঙ্গে রিয়েল এস্টেট বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আবাসন নির্মাণ কাজেও বিলিয়ন ডলার সরবরাহ করছে দেশটি।

সূত্র: ব্লুমবার্গ

এসএমডব্লিউ