বাবা-মা বিয়ের পাত্র ঠিক করেছিলেন মেয়ের জন্য। কিন্তু মেয়ের একেবারেই ইচ্ছে নেই পারিবারিক ভাবে বিয়ে করার। এরপরই হবু বরকে গোপনে দেখা করার বার্তা পাঠান তিনি। আর সুযোগ বুঝে চড়াও হন হবু বরের ওপরে। তরুণীর আক্রমণে ও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ওই ব্যক্তি।

চাঞ্চল্যকর ও একইসঙ্গে মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

পেশায় কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (সিএসআইআর) বিজ্ঞানী রামা নাইডুর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ২২ বছর বয়সী তরুণী পুষ্পার। পুষ্পা হাইস্কুলের গণ্ডি পার করতে পারেননি। তার একেবারেই সায় ছিল না বাবা-মায়ের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করার। তিনি প্রথম থেকেই বিয়েতে আপত্তি করছিলেন। কিন্তু তাকে জোর করেই বিয়ে দিতে চাইছিলেন বাড়ির সদস্যরা।

অন্ধ্রপ্রদেশের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা এস গৌতমী জানিয়েছেন, পুষ্পার কোনো পূর্ব অপরাধজনিত ইতিহাস ছিল না। কিন্তু বিয়ে করতে নারাজ তরুণী শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেন চরম কিছু করার। রামা নাইডুকে ডেকে পাঠান দেখা করতে। দেখা করার সময় পুষ্পার সঙ্গে তিনটি ছুরি ছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

এরপরই ঘটে যায় ভয়ংকর সেই ঘটনা। ছেলেটিকে নিয়ে নিকটবর্তী পাহাড়ের ওপরে উঠছিলেন তিনি। ওই পাহাড়ের চূড়ায় একটি মন্দির রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, রামার সঙ্গে সেই মন্দিরে যাবেন। স্বাভাবিকভাবেই কোনো সন্দেহ হয়নি হবু বরের।

এরপরই সুযোগ বুঝে পুষ্পা নিজের হাতের ধারাল ছুরি দিয়ে একের পর এক আঘাত করতে থাকে রামা নাইড়ুর ঘাড়ে। এরপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় রামাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত তরুণী পুলিশের কাছে বলেছেন, বাবা-মায়ের পছন্দ করা রামা নাইডুকে তিনি বিয়ে করতে চাননি। তার দাবি, এই বিয়েতে আপত্তি করার পরও বাবা-মা তার মতামতে কান দেননি।

টিএম