ইলিচ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ওয়ার্কস কারখানায় ধ্বংসপ্রাপ্ত কয়েকটি যানবাহন। মারিউপোল শহরের এই অংশটি রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। সোমবারের ছবি

ইউক্রেনের আরও একটি শহর দখলে নিয়েছে রাশিয়া। ভয়াবহ হামলার পর সোমবার (১৮ এপ্রিল) ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এই শহরটি দখলে নেয় রুশ সেনারা। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

এদিকে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, ভয়াবহ হামলার মাধ্যমে ‘সবকিছু মাটির সঙ্গে মিশিয়ে’ ক্রিমিনা শহরের দখল নিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।

ক্রিমিনা শহরটি পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলে অবস্থিত। শহর হাতছাড়া হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে লুহানস্কের আঞ্চলিক গভর্নর সার্গি গাইদে বলেন, ‘রোববার থেকে সোমবার ক্রেমিনাতে রাতে বড় ধরনের হামলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইতোমধ্যেই শহরটিতে প্রবেশ করেছে। রুশ সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক সংখ্যায় সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে... ইউক্রেনীয় প্রতিরোধ যোদ্ধারা পিছু হটে নতুন অবস্থানে চলে গেছে।’

ইউক্রেনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সেক্রেটারি ওলেক্সি দানিলভ দেশের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার আক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘দোনেতস্ক, লুহানস্ক এবং খারকিভ অঞ্চলের প্রায় পুরো ফ্রন্ট লাইন বরাবর হামলাকারী আমাদের প্রতিরক্ষা ভেদ করার চেষ্টা করেছে। সৌভাগ্যবশত, আমাদের সামরিক বাহিনী (তাদের জায়গা) এখনও ধরে রেখেছে।’

অবশ্য পূর্ব ইউক্রেনে হামলা জোরদার করার পর রুশ সামরিক বাহিনী দু’টি এলাকার দখল নিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। ওলেক্সি দানিলভ বলছেন, ‘ক্রিমিনা এবং ছোট অন্য একটি শহর (রুশ সামরিক বাহিনীর দখলে চলে গেছে)। কিন্তু এখনও লড়াই চলছে। আমরা আমাদের ভূখণ্ড কারও হাতে তুলে দেবো না।’

ক্রিমিনা শহরটি আঞ্চলিক প্রশাসনের কেন্দ্র ক্র্যামাতোরস্ক থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আগে শহরটিতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন। কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি দখল করা ছিল রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্যতম লক্ষ্য।

টিএম