রিজার্ভ চুরির মামলায় বাংলাদেশের হার
২০১৬ সালে চুরি যাওয়া রিজার্ভের কিছু টাকা উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংক হেরে গেছে। এই মামলার বিচারের পর্যাপ্ত এখতিয়ার নেই উল্লেখ করে সোমবার নিউইয়র্কের আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। ফিলিপিনো দৈনিক ফিল স্টারের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনের এনরিক রাজোন নেতৃত্বাধীন সোলেয়ার রিসোর্ট ও ক্যাসিনো অপারেটর ব্লুমবেরি রিসোর্টস কর্পোরেশন নিউইয়র্কের আদালতে তিন বছর আগে করা মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের ইতিহাসে রিজার্ভ চুরির সবচেয়ে বড় এই ঘটনা ঘটেছিল ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে। সেই রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়।
কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে পাচার হওয়া এই অর্থ প্রথমে গিয়েছিল ফিলিপাইনের মাকাতি শহরের রিজাল ব্যাংকের ৪টি ভুয়া অ্যাকাউন্টে। তারপর সেখান থেকে দ্রুত এই অর্থ উত্তোলন করেন হ্যাকাররা। শেষ পর্যন্ত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সহযোগিতায় মাত্র দেড় কোটি ডলার উদ্ধারে সমর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
রিজার্ভের একটি অংশ উদ্ধারে তিন বছর আগে নিউইয়র্কের আদালতে মামলা দায়ের করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই মামলা খারিজ করে দিয়ে গত ৮ এপ্রিল নিউইয়র্কের আদালত বলেছে, বিচারের পর্যাপ্ত এখতিয়ার না থাকায় ব্লুমবেরি রিসোর্টস কর্পোরেশন মামলা খারিজ করে দিতে যে আবেদন করেছিল, তা মঞ্জুর করা হয়েছে।
২০২০ সালের জুনে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) ও ব্লুমবেরি রিসোর্টসসহ দেশটির অন্যান্য ১৬ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আদালতে দায়ের করা মামলায় রিজার্ভ চুরি, অপব্যবহার, জালিয়াতির ষড়যন্ত্র এবং প্রতারণায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এই মামলায় আরসিবিসি, কেন্টুরিটেক্স ট্রেডিং, ইস্টার্ন হাওয়াই লেজার কোম্পানি, মিডাস হোটেল অ্যান্ড ক্যাসিনো এবং ব্লুমবেরি রিসোর্টসকে আসামি করা হয়েছি। তবে ব্লুমবেরি শুরু থেকেই এই মামলা ভিত্তিহীন বলে দাবি করে আসছিল।
এসএস