লন্ডনে নওয়াজ শরীফের ওপর হামলার অভিযোগ
অনাস্থা ভোটের আগেই উত্তপ্ত পাকিস্তানের রাজনীতি। সেই আঁচ পৌঁছেছে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনেও। শনিবার (২ এপ্রিল) লন্ডনে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পাকিস্তানের এক সাংবাদিক টুইটারে এই দাবি করেছেন বলে রোববার (৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থ এএনআই।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়েছে, লন্ডনের রাস্তায় সাবেক এই পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর ওপর চড়াও হয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক সমর্থক। ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন এই দলটিই এখন পাকিস্তানের ক্ষমতায় রয়েছে। হামলায় নওয়াজ শরীফ বিশেষ চোট না পেলেও, তার দেহরক্ষী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
— Ahmad Noorani (@Ahmad_Noorani) April 2, 2022
এএনআই বলছে, আহমেদ নুরানী নামে এক সাংবাদিক পাকিস্তানের ফ্যাক্ট ফোকাস সংবাদমাধ্যমে কাজ করেন। শনিবার টুইটারে তিনি দাবি করেন, লন্ডনের একটি রেস্তোরাঁর সামনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ওপরে হামলা চালায় পিটিআই’র এক সমর্থক। তবে পুলিশ এসে সঙ্গে সঙ্গে হামলাকারীকে প্রতিরোধ করায় পরিস্থিতি বেশিদূর এগোয়নি। হামলায় নওয়াজ শরীফের দেহরক্ষী আহত হন।
এদিকে হামলার খবর শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নওয়াজ শরীফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ। সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের আটকের দাবি জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেও সহিংসতায় উসকানি ও দেশদ্রোহিতার অভিযোগে আটক করা উচিত বলে তিনি দাবি করেন।
— Maryam Nawaz Sharif (@MaryamNSharif) April 2, 2022
টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় মরিয়ম বলেন, ‘পিটিআইয়ের যেসব সমর্থক সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছেন বা আইন-শৃঙ্খলাকে নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন, তাদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো উচিত। ইমরান খানকেও ছাড়া উচিত নয়। সহিংসতায় উসকানি ও দেশদ্রোহিতার জন্য তাকেও আটক করা উচিত। ইনশাআল্লাহ, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, রোববার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। যদি বিরোধী দল জয়ী হয়, তবে নওয়াজ শরীফের ভাই শাহবাজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
অবশ্য ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ ইতোমধ্যেই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। ৩৪২ সদস্যের জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ইমরান খানের প্রয়োজন ১৭২টি ভোট। তবে কেবল বিরোধীরাই নয় নিজের দলের একাধিক সদস্যও অনাস্থা প্রস্তাবে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
টিএম