ন্যাটো ইস্যুতে নিজেদের নিরপেক্ষতা ঘোষণা করতে এবং দেশটির পূর্বে অবস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এলাকার বিষয়ে একটি সমঝোতা বিবেচনা করার জন্য প্রস্তুত ইউক্রেন।

মঙ্গলবারের (২৯ মার্চ) নির্ধারিত আরেকটি আলোচনার আগেই দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ কথা বলেছেন।

জেলেনস্কি বলেন, আমি বুঝতে পারি যে রাশিয়াকে সম্পূর্ণরূপে ইউক্রেন ছেড়ে যেতে বাধ্য করা অসম্ভব। এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমি এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন।

এ কারণেই আমি বলছি, হ্যাঁ! এটি একটি আপস। রাশিয়া তার সামরিক বাহিনী ফিরিয়ে নিয়ে যাক। তারপরে আমরা ডনবাসের জটিল সমস্যা সমাধানে কাজ করব।

জেলেনস্কি যোগ করেন, যুদ্ধ শেষ করার একমাত্র উপায় ছিল রাশিয়ার নেতাদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক। কিন্তু রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ তা আগেই খারিজ করেছিলেন।

ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে গত দুই মাস রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছিল মস্কো।

কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে আসেনি। উপরন্তু এই দু’মাসের প্রায় প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে গেছে— যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী।

অবশেষে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া; এবং তার দু’দিন পর, ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখল করেছে রুশ সেনারা। বর্তমানে রাজধানী কিয়েভের আশে পাশের বিভিন্ন সড়কে রুশ সেনাদের সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে ইউক্রেনের সেনা সদস্যদের।

এমএইচএস