রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (ফাইল ছবি)

ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কারণে একদিন আগেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘কসাই’ উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘তিনি (পুতিন) ক্ষমতায় থাকতে পারেন না’। তবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো এখন রাশিয়ায় সরকার পরিবর্তন দেখতে চায় না।

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস রোববার (২৭ মার্চ) একথা জানিয়েছেন। তার ভাষায়, রাশিয়ায় সরকার পরিবর্তন করা ন্যাটোর উদ্দেশ্য নয়। সোমবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

জার্মানির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল এআরডি’কে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেন, ‘এটি (রাশিয়ায় সরকার পরিবর্তন) ন্যাটো বা মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্য নয়। আমি হোয়াইট হাউসে তার (বাইডেনের) সাথে দীর্ঘসময় কথা বলার সুযোগ পেয়েছি এবং আমরা এই প্রশ্নগুলো নিয়েও আলোচনা করেছি।’

শনিবার পোল্যান্ডের রাজধানীতে দেওয়া বক্তৃতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ঈশ্বরের জন্য, এই লোকটি (ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার) ক্ষমতায় থাকতে পারেন না। বক্তৃতার একেবারে শেষের দিকে করা এই মন্তব্যটিই ইউরোপে বাইডেনের চার দিনের সফরের ক্যাপস্টোন হয়ে উঠে।

বক্তৃতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরোধকে সোভিয়েত বিরোধী ‘স্বাধীনতার লড়াই’ এর সাথে তুলনা করেন এবং বলেন, বিশ্বকে ‘দীর্ঘ লড়াইয়ের’ জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধে আমাদের পরিষ্কার লক্ষ্য রাখতে হবে। এই যুদ্ধটি কয়েকদিনে বা কয়েক মাসেও জয়ী হওয়া যাবে না। এই লড়াইয়ে দীর্ঘ পথ চলার জন্য  আমাদের অবশ্যই এখন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।’

জো বাইডেনের এমন মন্তব্যের পরই কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় ক্রেমলিন। পরে বেশ দ্রুতই বাইডেনের মন্তব্য আরও খোলসা করে হোয়াইট হাউস। তারা জানায়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন মস্কোতে শাসন পরিবর্তনের আহ্বান জানাচ্ছেন না।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট বাইডেন রাশিয়ায় ‘শাসন পরিবর্তনের’ আহ্বান জানাননি। তবে বাইডেনের বক্তব্যের অর্থ ছিল, ‘পুতিনকে তার প্রতিবেশী বা অঞ্চলের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করার অনুমতি দেওয়া যাবে না।’

এরই প্রতিক্রিয়ায় রোববার জার্মানির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস আরও বলেন, ‘সব জায়গায়ই গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের (নিরাপদ) ভবিষ্যৎ রয়েছে। তবে এটি জনগণ ও জাতির জন্য স্বাধীনতার লড়াই।’

টিএম