বেসামরিক বিমান চলাচল শিল্প ভারতের অর্থনীতির একটি মূল উপাদান হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছেন, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ২২০টি বিমানবন্দর তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। 

২০২২-২৩ সালের জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের অনুদানের দাবির জবাবে বুধবার (২৩ মার্চ) তিনি সংসদে বলেন, ভারত করোনা মহামারি চলাকালীন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণে এগিয়ে গেছে। পচনশীল খাদ্য সামগ্রী পরিবহনের জন্য সামনের বছরগুলোতে ১৩৩টি কার্গো ফ্লাইটের মাধ্যমে ৩০ শতাংশ বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাইলট লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকার ৩৩টি নতুন অভ্যন্তরীণ কার্গো টার্মিনাল তৈরি, পাইলটদের জন্য ১৫টি নতুন ফ্লাইট প্রশিক্ষণ স্কুল স্থাপন, আরও নতুন চাকরি তৈরি এবং ড্রোন খাতে ফোকাস বাড়াতে চায়।

এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারত সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ২২০টি নতুন বিমানবন্দর স্থাপন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, বলেন বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী।

তিনি জানান, গত সাত দিনে গড়ে প্রতিদিন ৩.৮২ লাখ যাত্রী উড়োজাহাজে ভ্রমণ করেছেন। দেশটির এই মন্ত্রী বলেছেন, ২০১৮-১৯ সালে ভারতের যাত্রীক্ষমতা ছিল ৩৪.৫ লাখ। সিন্ধিয়ার দাবি, মন্ত্রণালয় ২০২৩-২৪ সালে যাত্রী ধারণক্ষমতা ৪০ লাখ করতে চায়। পাশাপাশি এদিন তিনি অপারেশন গঙ্গায় ভারতীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

ভারতে নারী পাইলটদের উপস্থিতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, গত ২০-২৫ বছরে এ শিল্পে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অন্য সব দেশে মাত্র পাঁচ শতাংশ নারী পাইলট, ভারতে তা ১৫ শতাংশেরও বেশি। যা নারীদের ক্ষমতায়নের আরও একটি উদাহরণ।

সূত্র : এনডিটিভি।

জেডএস