চুপচাপ বসে থাকলে হবে না, চীনকে যুক্তরাজ্য
ইউক্রেনে টানা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রাশিয়া। পশ্চিমা দেশগুলোসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ মস্কোর নিন্দায় সরব হলেও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম চীন। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে বেইজিং নিজেকে নিরপেক্ষ হিসেবে দাবি করলেও দেশটির অবস্থান কার্যত মস্কোর পক্ষেই।
এমনকি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দাও জানায়নি চীন। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুতে নিরপেক্ষতার কথা বলে চীনকে আর চুপচাপ বসে না থাকার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
বিজ্ঞাপন
একইসঙ্গে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানাতেও চীনের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রোববার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ব্রিটেনের সর্বাধিক প্রকাশিত সংবাদপত্র সানডে টাইমস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, রাশিয়াকে সমর্থন করা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভুল পক্ষ বেছে নেওয়ার মতোই কাজ। একইসঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে ভালো ও মন্দের মধ্যে যুদ্ধ হিসাবেও আখ্যায়িত করেন তিনি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সময়ের সাথে সাথে রাশিয়ার নৃশংসতার সংখ্যা যতই বাড়ছে, মানুষের জন্য পুতিনের আক্রমণকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রত্যাখ্যান করা ক্রমাগত আরও কঠিন এবং রাজনৈতিকভাবে বিব্রতকর হয়ে উঠছে বলে আমি মনে করি।’
জনসন বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে বেইজিং তার নিরপেক্ষ অবস্থান সম্পর্কে ‘দ্বিতীয় চিন্তাভাবনা’ শুরু করেছে। চীন এখনও ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করেনি এবং মস্কো বেইজিংয়ের কাছে সাহায্য চেয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে দিয়েছেন চীন যদি রাশিয়াকে সহায়তা করে তবে তাকে ‘পরিণাম’ ভোগ করতে হবে।
বিবিসি বলছে, শনিবার চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই রাশিয়া ইস্যুতে দেশটির অবস্থানকে ‘বস্তুনিষ্ঠ এবং ন্যায্য’ বলে অভিহিত করেছেন। একইসঙ্গে এই ইস্যুতে চীন বহিরাগত চাপের প্রতিক্রিয়া জানাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ওয়াং ইর ভাষায়, ‘সময়ই বলে দেবে যে, চীনের অবস্থান ইতিহাসের সঠিক দিকেই রয়েছে।’
টিএম