ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (ফাইল ছবি)

ইউক্রেনে রাশিয়ার জোরদার সামরিক আগ্রাসনের মুখে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও তার পরিবারকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে ওই প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্বয়ং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

বিদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের চেয়ে সামরিক আগ্রাসনের মধ্যে ইউক্রেনের জনগণের পাশে দাঁড়ানোকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন জেলেনস্কি। রোববার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।

ব্রিটেনের সর্বাধিক প্রকাশিত সংবাদপত্র সানডে টাইমস’কে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাথে তার নিয়মিত কথোপকথন হচ্ছে। তিনি (জেলেনস্কি) সম্পূর্ণরূপে একজন আকর্ষণীয় ব্যক্তি এবং একইসঙ্গে তিনি একজন অনুপ্রেরণাদায়ী হিসেবেও প্রমাণিত।

প্রধানমন্ত্রী জনসনের বক্তব্য অনুযায়ী, জেলেনস্কি এবং তার পরিবারের যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল কিন্তু ভলোদিমির জেলেনস্কি সবসময় পরিষ্কার করে বলেছেন যে, ইউক্রেনের জনগণের প্রতি তার দায়িত্ব রয়েছে; তিনি সেখানেই থাকবেন এবং ইউক্রেনীয়দের দেখাশোনা করবেন। আমাকে তার প্রশংসা করতেই হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।

সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর এক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ৩০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়।

রাশিয়া বরাবরই দাবি করে আসছে যে, বিশেষ সামরিক অভিযানের লক্ষ্য হলো ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ ও ‘নাৎসীবাদ মুক্ত’ করা। মস্কোর দাবি, শুধুমাত্র ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করেই হামলা করা হচ্ছে। বেসামরিক জনগণ বিপদে নেই।

এছাড়া রাশিয়ার ইউক্রেন দখলের কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জোর দিয়ে বলে আসছে মস্কো।

টিএম